‘ভবিষ্যত আফগানিস্তানে তালেবানদের ভূমিকা থাকবে, আধিপত্য নয়’

ভবিষ্যত আফগান সরকারে তালেবানদের ভূমিকা থাকবে, তবে পূর্ণ আধিপত্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। বুধবার ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভবিষ্যত আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রভাব থাকবে না, তা অসম্ভব। তবে আমরা এও বিশ্বাস করি, তালেবানদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা উচিত নয়।’

আফগানিস্তানে ১৮ বছরের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে শান্তি আলোচনা নিয়ে ব্যাপক তোড়জোর লক্ষ করা যাচ্ছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটি থেকে কয়েক হাজার সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন।

রয়টার্স বলছে, আফগান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জালমেই খলিলজাদ দেশটিতে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে তালেবানদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার তালেবানরা চতুর্থ দফার বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে, যা চলতি সপ্তাহে কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

তালেবানরা বলছে, পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারে কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় তারা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রসঙ্গত, সুন্নি মুসলিম তালেবানদের ব্যাপারে শুরু থেকেই বেশ সতর্ক শিয়া অধ্যুষিত ইরান।

তবে ভারত সফররত ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তালেবানদের সঙ্গে তাদের গোয়েন্দা যোগাযোগ রয়েছে, কারণ আফগান অংশে তালেবানদের নিয়ন্ত্রিত সীমান্তে তাদের (ইরান) নিরাপত্তা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে পতন ঘটে তৎকালীন তালেবান সরকারের। তখন থেকে বিদেশি সেনাদের হঠাতে এবং পশ্চিমা মদদপুষ্ট আফগান সরকারের পতন ঘটাতে লড়াই করছে কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান যোদ্ধারা।

জাভেদ জারিফ আরো বলেন, তালেবানদের কী ভূমিকা থাকবে সেটা আফগানদের ব্যাপার। তবে আফগানিস্তানের প্রতিবেশীরা চায় যাতে দেশটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তালেবানদের হাতে না যায়।