যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইরান

প্রধান শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলায় নৌ-সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান। আর এরই অংশ হিসেবে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থানরত মার্কিন রণতরীর কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে যাচ্ছে তেহরান।

শুক্রবার ইরানের এক শীর্ষ কমান্ডার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়েছে, পারস্য উপসাগরে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ তেহরানের জন্য উদ্বেগের। আর তাই মার্কিন জলসীমায় পতাকা উড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায় ইরানি নৌবাহিনী।

ইরানের সরকারি গণমাধ্যম ইরনার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির নৌবাহিনীর উপ-কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল তৌরাজ হাসানি বলেছেন, ইরানি নতুন বছরের (মার্চ থেকে শুরু) শুরুতে যুদ্ধজাহাজের একটি বহর আটলান্টিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

তিনি জানান, বহরের অন্যতম যুদ্ধজাহাজ হবে নতুনভাবে নির্মিত ডেস্ট্রয়ার সাহান্দ। যার ডেকে হেলিকপ্টার অবতরণের ব্যবস্থা থাকবে।

তেহরান বলছে, অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজে থাকবে বিমান ও জাহাজ বিধ্বংসী প্রযুক্তি। এ ছাড়া ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এতে থাকবে বৈদ্যুতিক যুদ্ধ সরঞ্জামের সুবিধা।

এর আগে ডিসেম্বর মাসে হাসানি বলেন, ইরান খুব শিগগিরই ভেনিজুয়েলায় একটি মিশনে দুই থেকে তিনটি জাহাজ পাঠাবে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান নৌ-যুদ্ধে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে। সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে নিজেদের জাহাজ রক্ষায় এখন ভারত মহাসাগর ও এডেন সাগরের উপকূলে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে সক্ষম তেহরান।

উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করা পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে একতরফাভাবে বেরিয়ে গেলে এবং তেহরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করলে দুই দেশের মধ্যকার বাক-যুদ্ধে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

এর আগে ইরান সতর্ক করে বলে, যুক্তরাষ্ট্রের কারণে যদি তাদের তেল বিক্রি ব্যাহত হয় তাহলে ওই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ওয়াশিংটনকে ছাড় দেবে না। সেইসঙ্গে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেয় তেহরান। অথচ তেল ব্যবসায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক রুট এটি।