রিজভী: সেনা মোতায়েনেও অবস্থার উন্নতি হয়নি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরও সারাদেশে অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এখনো বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। একইসঙ্গে সহিংসতার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় তিনি দাবি করেন, সোমবারের ২৪ ঘণ্টায় ২৮টির মতো নির্বাচনী আসনে ধানের শীষের প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ১৯ প্রার্থীসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে সোমবার। গতকাল দিনে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারণা ও সমাবেশে ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাতেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের টেক্কা দিয়ে সন্ত্রাসী আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ।’

তিনি বলেন, ‘আগে পুলিশ লাঠিপেটা ও মাঝে মাঝে গুলি করত। এখন লাঠি বাদ দিয়ে শুধু গুলি চালাচ্ছে। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু সোনা মোতায়েনের পরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। ড. কামাল হোসেন সাহেবও এটাকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন। তবে আমরা এখনো বিশ্বাস করি, পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

তিনি জানান, নোয়াখালীতে ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নরসিংদীতে আবদুল মঈন খান, কিশোরগঞ্জে আক্তারুজ্জামান, শরীফুল আলম, শেরপুরে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, শরীয়পুরে মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, ভোলায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদের প্রচারে হামলা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ–দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাশুকুর রহমান, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।