ভেঙে যাচ্ছে নেইমার-এমবাপ্পে জুটি!

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের অন্যতম নাম প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। উদার মনে খরচ করছে কাতারি মালিকানাধীন ফরাসি ক্লাবটি। এই ক্লাবেই আছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী দুই ফুটবলার নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুজনকে দলে টানতে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো খসাতে হয়েছে পিএসজিকে।

সেটা পিএসজি খরচ করতেই পারে। এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নাসির-আল খেলাইফির অর্থের অভাব আছে নাকি! কাতারি মালিকের উদ্দেশ্য একটাই- ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়। সেটা দূরের কথা, আপতত চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণ ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে আর্থিক দুর্নীতির কারণে।

পিএসজির বহুদিনের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নেইমার-এমবাপ্পে জুটি করেছে দলটি। সেটাই কাল হলো। ফেয়ার প্লের নীতি ভঙ্গ হয়েছে পিএসজির। তাতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে তাদের। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে নেইমার-এমবাপ্পে জুটি ভেঙে দিতে হবে পিএসজিকে। দুজনের একজনকে ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে তাদের।

কয়েক মৌসুম ধরেই দল-বদলের বাজারে দুই হাত খুলে অর্থ ঢালছে পিএসজি। তাদের ওপর আগে থেকে নজর রাখলেও খুব বিষয়টা খুব একটা আমলে নিচ্ছিল না বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলের সংগঠন উয়েফা। অবশেষে নড়েচড়ে বসতে হলো সংস্থা দুটিকে।

বোমাটা ফাটিয়েছে ফুটবল লিকস। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতি ভেঙেছে পিএসজি। ফিফা এবং উয়েফাও নাকি ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে বেশ চাপ দিচ্ছে। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে- খেলোয়াড় বিক্রি করে ১৭০ মিলিয়ন ইউরো আয় দেখাতে হবে পিএসজিকে।

এই বিপুল পরিমান অংক আয় করতে হলে নেইমার কিংবা এমবাপ্পে- একজনকে বেচে দিতে হবে। এই পরিমাণ অংক দিয়ে বিক্রি করার মতো অন্য কোনো খেলোয়াড়ও নেই পিএসজিতে। অন্যথায়, এত বড় অর্থের সংকুলান মেটাতে কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে হবে পিএসজিকে।

এই প্রক্রিয়াটাও প্রায় অসম্ভব। পিএসজির সামনে সহজ রাস্তা হচ্ছে- নেইমার কিংবা এমবাপ্পে একজনকে বেচে দেওয়া। তাতে করে আগ্রহ দেখাতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। নেইমারকে দলে টানার চেষ্টা যে কয়েক বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে তারা। স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ মিডিয়ার গুঞ্জন সম্প্রতি এমবাপ্পের প্রতিও নাকি ব্যাপক আগ্রহ জন্মেছে রিয়াল মাদ্রিদের।

পিএসজির আর্থিক দুর্নীতির মামলা এখন স্পোর্টস কোর্ট অব আরবিট্রেশনে আছে। এই আদালতের রায়ই নির্ধারণ করে দেবে পিএসজির ভাগ্য। আদালতের রায়ে পিএসজি হেরে পিএসজি কী করবে সেটাই এখন বিরাট প্রশ্ন।