অতি আক্রমণেই সর্বনাশ!

বাংলাদেশ ইনিংসের তখন সবে দ্বিতীয় ওভারের খেলা চলছে। শেলডন কটরেলের লাফিয়ে উঠা বলে পুল করতে গেলেন তামিম ইকবাল। অভিজ্ঞ ওপেনার শটটা খেলে ফেলেছিলেন একটু আগেভাগেই, মিড অফে ক্যাচ। শুধু তামিম একা নয়, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার এমনকি বাংলাদেশের ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসানও আউট হলেন অতিআক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে।

উইন্ডিজ পেসাররা খাটো লেন্থে বল ফেলে পুল খেলাতে প্রলুব্ধ করে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। বোঝাই যাচ্ছিল, এভাবেই হোমওয়ার্ক সেরেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা সেটা না বুঝে ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের মৃত্যু ডেকে এনেছেন বারবার। তামিম, সৌম্য, লিটন, সাকিব সবাই পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে আউট হয়েছেন। সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ বড় স্কোর পেল না এই কারণেই।

ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জিও স্বীকার করে নিলেন বিষয়টি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নিল ম্যাকেঞ্জি। ছোট স্কোরের কারণ জিজ্ঞেস করলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যানের জবাব, 'সাকিব দেখিয়েছে যে, আমরা ওদের গতি আরেকটু বেশি ব্যবহার করতে পারতাম। আমার মনে হয়, আমরা অতি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা যখন বলের গতি ব্যবহার করতে পারতাম তা না করে চড়াও হতে চেয়েছিলাম।'

ম্যাকেঞ্জি বলেন, 'আমরা বেশ কিছু দিন পর টি-টোয়েন্টি খেললাম। ৫০ ওভারের ক্রিকেট আর ২০ ওভারের ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয়, আমরা ব্যাটিংয়ে তাড়াহুড়ো করেছি।'

উইন্ডিজের দ্রুতগতির বোলারদের অন্যভাবেও খেলতে পারতেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা, এমনটাই বলেছেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি বলেন, 'আমরা নেটে প্রচুর বড় শট অনুশীলন করেছিলাম। তবে আপনার গেম প্ল্যান আর নির্দিষ্ট বোলারের ওপর আপনি কতটা কার্যকর হবেন তার ওপর এর সাফল্য নির্ভর করে। আপনার এমন বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হতে হবে যাদের বলের গতি একটু কম। যারা একটু দ্রুত গতির তাদের সামলাতে আপনার একটু স্মার্ট হতে হবে।'

আজ তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে আট উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিং করে ১২৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। পরে মাত্র ১০.৩ ওভারে জয়ের জন্য ১৩০ রান তুলে ফেলে উইন্ডিজ।