উইন্ডিজদের হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

দুর্দান্ত টেস্ট সিরিজের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে উইন্ডিজকে সহজেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক শাই হোপের কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেটা হারতে হয়েছে অল্পের জন্য। তৃতীয় ওয়ানডেটা জিততে না পারলে এই সিরিজটা হারতে হতো বাংলাদেশকে। সিলেটে গিয়ে এই শঙ্কা এক ফুৎকারেই উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ।

বোলিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ তারপর ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারে তৃতীয় ওয়ানডেেতে ক্যারিবিয়ানদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সিলেটে ৬৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ।

১৯৮ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই আজ ভালো ব্যাটিং করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম উইকেটে ৪৫ রান তোলেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। দারুণ খেলতে থাকা লিটন ২৩ করে ফিরলে তিনে ব্যাটিং করতে আসেন সৌম্য সরকার। গত দুই ম্যাচ নিচের দিকে ব্যাটিং করে রান পাননি সৌম্য।

তিনে সফল হতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ফলে ইমরুলকে একাদশের বাইরে রেখে আজ তিনে নামিয়ে দেওয়া হয় সৌম্যকে। তাতেই যেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের ফর্ম ফিরে এলো সৌম্যর ব্যাটে। 'সৌম্য স্পিনে দূর্বল' এমন কথার প্রচলন থাকলেও ইনিংসে যে পাঁচটা ছক্কা হাঁকালেন সব কটাই স্পিনারদের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ যখন জয়ের একেবারে কাছাকাছি তখন সৌম্য ফিরেছেন ৮১ বলে ৮০ রান করে। পাঁচ ছক্কার বিপরীতে তরুণ ওপেনারের ইনিংসে চারের মারও পাঁচটি।

শুরু থেকে ছন্দময় ক্রিকেট খেলতে থাকা তামিম ইকবাল অপরাজিত ছিলেন দলের জয় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত। ১০৪ বল খেলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। সৌম্যর পর উইকেটে আসা মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ১৬ রানে। ৩৮.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ২০২ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।

এর আগে শেই হোপ ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে একাই ১০৮ রান করলেও উইন্ডিজের ইনিংস থেকে যায় ১৯৮ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে ২৯ রান খরচায় চার উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।