সারাদিনে মনোনয়ন ফিরে পেলেন যারা

মনোয়নয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা ১৬০টি আপিলের শুনানি শেষে ৮১ প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই করার বৈধতা পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি চলছে, চলবে আরো দু’দিন। দিনের শুরুতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নবাব মো. শামছুল হুদার আপিল শুনানি দিয়ে শুরু হয়। আপিলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

এরপর দুই নম্বরেই ছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বগুড়া-৭ আসনে দলের মনোনীত বিকল্প প্রার্থী মোরশেদ মিল্টনের আপিলের শুনানি। শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিনে প্রায় ১৬০টি আপিল নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি ৮১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে, ৭৭ জনের প্রার্থীতা বাতিল করেন এবং ২ জনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা হয়।

বিএনপির যে চার একক প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিল্টন, জামালপুর-৪ আসনের ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম), মানিকগঞ্জ-২ আসনের আবিদুর রহমান খান ও ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক। টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপার এখন পর্যন্ত ৭৪ জন প্রার্থীর নাম পেয়েছে।

সারাদিনে যারা মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন-

ঢাকা বিভাগ: ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-৫ সেলিম ভুঁইয়া, ঢাকা-১৪ মো. জাকির হোসেন ও সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক, ঢাকা-২০ আসনে তমিজ উদ্দিন, মানিকগঞ্জ-১ মো. তোজাম্মেল হক, মানিকগঞ্জ-২ মো. আবিদুর রহমান খান, মানিকগঞ্জ-৩ মো. আতাউর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন, গাজীপুর-২ মো. জয়নাল আবেদিন ও মাহাবুব আলম, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু।

চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা,  চট্টগ্রাম-৮ আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-৯ নুরুল আমিন ও মোহাম্মদ দুলাল খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মো. আনিছুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৬ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ আসনে মো. তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ মো. মুখলেছুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আনোয়ার আহম্মদ লিটন ও আবদুল্লাহ আল হেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নূর বেবী, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মো. মাহাবুব আলম, কুমিল্লা-৩ কে এম মুজিবুল হক।

সিলেট বিভাগ: সিলেট-৩ আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট-৫ ফয়জুল মুনির চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ জোবায়ের আহমেদ, হবিগঞ্জ-৪: মওলানা মুহাম্মদ ছোলাইমান খান রব্বানী। 

খুলনা বিভাগ: খুলনা-৬ এস এম শফিকুল আলম, ঝিনাইদহ-২ মো. আবদুল মজিদ, ঝিনাইদহ-৩ মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন ও ঝিনাইদহ-৪ আবদুল মান্নান, নড়াইল-২ আসনে ফকির শওকত আলি, যশোর-৬ আসনে সাইদুজ্জামান। 

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল-২ মো. আনিছুজ্জামান ও মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন সন্যামত, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মাওলা রনি ও মোহাম্মদ শাহজাহান। 

রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী-১ মো. আমিনুল হক, নাটোর-৪ মো. আলাউদ্দিন মৃধা ও আব্দুল আজিজ, জয়পুরহাট-১ মো. ফজলুর রহমান, বগুড়া-৬ আসনে মোহাম্মদ ফয়সাল বিন, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৫ মো. আব্দুর রউফ মণ্ডল জন, বগুড়া-৭ মোর্শেদ মিল্টন, সিরাজগঞ্জ-৬ এম এ মুহিত, সিরাজগঞ্জ-৪ আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৫ মেজর (অব.) মনজুর কাদের, সিরাজগঞ্জ-৬ মো. হাবিবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আয়নাল হক, পাবনা-৩ আসনে হাসাদুল ইসলাম।

রংপুর বিভাগ: গাইবান্ধা- ৩ আসনে আমিনুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ আসনে আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধা-৫ আসনে মো. নাজিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৩ আবদুল খালেক ও মো. আবু জাফর, কুড়িগ্রাম-৪ মো. মাহফুজার রহমান ও মো. ইউনুছ আলী, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর-১ আসনে মো. আসাদুজ্জামান, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ। 

ময়মনসিংহ বিভাগ: ময়মনসিংহ-২ মোহাম্মদ আবুবকর ছিদ্দিক, ময়মনসিংহ-৩ আহাম্মদ তায়েবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৭ মো. জয়নাল আবেদিন, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, শেরপুর-২ এ কে এম মুখলেছুর রহমান, জামালপুর-৪ মো. ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম), কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বে আপিল বোর্ডে আছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১১তম সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩৬ আসনে এবং বিএনপি পাঁচ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি।