ঐক্যফ্রন্টকে ১০০ আসনে ছেড়ে দিবে বিএনপি?

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি পরস্পর অনড় অবস্থানে নেই বলে জানিয়েছেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। সোমবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন ভাগাভাগি নিয়ে অনড় অবস্থানে নেই। যোগ্য প্রার্থী পাওয়া গেলে প্রয়োজন হলে বিএনপি ১০০ আসনে ছাড় দেবে।' দেশব্যাপী বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো মোট ২৪০টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সর্বাধিক ১০০টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণফোরাম। আ.স.ম আব্দুর রবের জেএসডি জমা দিয়েছে ৬০ আসনে। নাগরিক ঐক্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৪০টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

বিএনপি সূত্র বলছে, নাগরিক ঐক্যকে চূড়ান্তভাবে সর্বোচ্চ দুটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে। এরমধ্যে একটি আসন হচ্ছে- বগুড়া-২ এ মাহমুদুর রহমান মান্না আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এসএম আকরাম। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকেও দুটি আসন দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল থেকে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গেলে সুযোগ পাবে তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। গাজীপুর-৩ আসনটি পাবেন তার দলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী।

এছাড়াও ফ্রন্টের আরেক শরিক জেএসডিকে সর্বোচ্চ দুটি বা তিনটি আসনে ধানের শীষ দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে লক্ষীপুর-৪ আর তানিয়া রবকে ঢাকার একটি আসন দেয়া হতে পারে। আর দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন পেতে পারেন কুমিল্লা-৪ আসন।

এদিকে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের পক্ষ থেকে সারা দেশে শতাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রার্থীদের সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০ আসন দেয়ার পরিকল্পনা করছে।

আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আমাদের ২০-দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে। সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। আশা করছি এ বিষয়ে কোন সংকট হবে না।'