ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার: দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি ইশতেহারের খসড়া প্রস্তুত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ চূড়ান্ত খসড়া স্টিয়ারিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে। শীর্ষ নেতাদের সম্মতির পর অনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার।

ঐক্যফ্রন্টের সূত্র জানায়, নির্বাচনি ইশতেহারে ক্ষমতায় গেলে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে। এছাড়া নিম্ন আদালতকে পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের অধীন করা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সাংসদদের ভোটের ক্ষমতা প্রদান করা, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান করাসহ আরও বেশ কিছু আশ্বাস থাকছে ইশতেহারে।

ইশতেহারে বলা হয়, পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না। অনাস্থা ভোট এবং অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে দলীয় সাংসদ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও তাঁদের সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে না, এমন সংশোধনী ৭০ অনুচ্ছেদে আনা হবে।

এছাড়া সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করে বিভিন্ন দলের সদস্যসংখ্যা নির্ধারণে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।

খসড়া ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, মুঠোফোনে ইন্টারনেটের খরচ কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। দেশের বিভিন্ন গণজমায়েতের স্থানে ওয়াই-ফাই ফ্রি করে দেওয়া হবে। সংখ্যালঘুদের জন্য মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাগুলোতে শিল্পায়নে লক্ষ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অন্যান্য বিদেশি সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।

এসব ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ঐক্যফ্রণ্টের খসড়া ইশতেহারে।