‘৮০ জনই নেই, কীভাবে নির্বাচন করব’

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে বিএনপি জোটের ৮০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই এনেছেন ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ। এমন অবস্থায় ২০ দল কীভাবে ভোটের মাঠে থাকবে, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

রোবাবর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এমন অভিযোগ তোলেন। বৈঠকটি সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

২০ দল নির্বাচনে থাকতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাছাইয়ের সময়ই জোটের ৮০ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি দল আওয়ামী লীগের জয়কে এগিয়ে রাখা হয়েছে।’

সরকারি দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে অলি আহমদ বলেন, ‘প্রতিদিন বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা নির্বাচন করব কীভাবে? প্রার্থী যদি না থাকে কাকে নিয়ে নির্বাচন করবেন? এ ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট ঘোষণা চাই।’

নির্বাচনের পরিবেশ একবারেই নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত আমাদের পক্ষে নির্বাচনে টিকে থাকা হয়তো সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে আমরা নির্বাচন করতে চাই, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে আছি।’

২০ দলের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহমদ বলেন, জাতির কাছে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ওয়াদা করেছিলাম বলেই নির্বাচনে আছি। মনোনয়নও জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে আমাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। জোট নেতাদের মিথ্যা মামলায় জেলে নেয়া হচ্ছে। এ সবরে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী যেনো না থাকে।’

এদিকে বৈঠকে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয় ছাড়াও আসন বণ্টন নিয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে বিএনপি নেতারা আগামী বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে শরিকদের সঙ্গে বসার কথা জানান। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও তারা আশ্বস্ত করেন।

অলি আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, জাগপার মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, লেবার পার্টির ফারুক রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, এনডিপির মো. আবু তাহের, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।