নির্বাচনে খালেদার বিকল্প

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিন আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় শেষপর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবেন কি না বিষয়টি নিয়ে সংশয় আছে। সে কথা মাথায় রেখে বিকল্প প্রার্থীও ঠিক করেছে দলটি।

সোমবার বগুড়া-৬ (সদর), বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) ফেনী-১ (পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনে খালেদা জিয়াকে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়। বগুড়ার দুটি আসনে তার পক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু মহাসচিবের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে বগুড়া-৬ আসনে পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান অথবা জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুলকে বিকল্প হিসেবে ভাবনায় আছেন। বগুড়ার অপর আসন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া-৭ এ সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টনের একজনকে বেছে নেয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকেও এ আসনে খালেদার বিকল্প রাখা হয়েছে।

এদিকে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ও নূর মোহাম্মদ নামে একজনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ অথবা দলে জ্যেষ্ঠ কোনো নেতাকে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে দলের সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য ৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে পুরনো ঢাকার পরিত্যাক্ত কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। অবশ্য আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। সেই সাথে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার দুটি আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে বগুড়া-৭ আসনটি ছেড়ে দেয়ায় প্রতিবারই উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানেও ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তিনটি উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। তবে ২০০৯ সালের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

আর বগুড়া-৬ আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ এ সংসদ সদস্য হিসেবে খালেদা জিয়া দায়িত্ব পালন করলেও ২০০৮ সালে আসনটি ছেড়ে দিয়ে ফেনী-১ ধরে রাখেন। তখন ওই আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার জয়লাভ করেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।