বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে আশরাফুলের ফেরার স্বপ্ন

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তার নামটা অমোচনীয় কালিতে লেখা হয়ে গেছে অনেক আগেই। ইতিবাচক কারণে তো বটেই, আশরাফুল ইতিহাসের পাতায় পাতায় থেকে যাবেন তার কলঙ্কিত কাণ্ডের জন্যও। যে কলঙ্কের দায়ে পাঁচটা বছর কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি তিনি। সেই কলঙ্কের শাস্তি পেরিয়ে প্রতিযোগিতামূল ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্নটা ক্রমেই হয়ে যাচ্ছে ফিকে।

গত আগস্ট থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন আশরাফুল। এরও দুই বছর আগে থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। সেখানে ব্যাট হাতে খুব উজ্জ্বল না হলেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি, এবং সম্ভবত, সেই আলোর ঝলকই ব্যাটসম্যান আশরাফুলের শেষ ঝলক হয়ে থেকে যাচ্ছে।

সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে বড় কিছু করে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্য ছিলো তার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছয় ম্যাচের ১০ ইনিংসে মাত্র ২৫৩ রান করেছেন তিনি। কোনো সেঞ্চুরি তো নেই-ই, হাফ সেঞ্চুরিও মাত্র একটি।

এই রকম পারফর্ম্যান্সের পর আশরাফুল হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ফেরা পড়া বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বিসিএলে কোনো দল পাননি। এই আসরের অন্যান্য মৌসুমে নির্বাচকরাই দল গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখান থেকে কোনো দল আশরাফুলকে দলে নেয়নি।

সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়া আশরাফুলের ফেরার স্বপ্ন চূড়ান্ত রঙহীনতা ভর করে মূলত এর মাধ্যমেই। তার জন্য পরবর্তী সুযোগ হতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে চিটাগং ভাইকিংসে খেলবেন আশরাফুল।

বিপিএলে যদি চোখ ধাঁধানো কিছু না করতে পারেন, পরে ঢাকা লিগে তার জন্য দল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এবং সেটাই যদি হয়, আশরাফুলের ক্যারিয়ারের আপাতত সমাপ্তি রেখে টেনে দেয়া যাবে। যদিও গত ঢাকা লিগে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ফর্ম সামনের দিকে টেনে নিতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।