উইকেট নিয়ে দিশাহীন মাহমুদুল্লাহ

জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশের কট্টর ‘অসমর্থকও’ নিশ্চয় ভাবেননি যে, প্রথম ম্যাচটা হেরে বসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা এবং এর পথ ধরে দ্বিতীয় ম্যাচ তাদের কাছে হয়ে উঠবে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা। সমর্থকদের ভাবনায় এমন কিছু তো আসার প্রশ্নই আসেনি।

ভাবনার বাইরে গিয়ে সিলেট টেস্ট হারের পর আসলেই এখন ঢাকায় সম্মান বাঁচানোর চিন্তা করতে হচ্ছে মাহমুদুল্লাহদের। যে চিন্তার সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাচ্ছে উইকেটসংক্রান্ত সংশয়।

প্রথাগতভাবে মিরপুর শেরে বাংলার উইকেট ব্যাটসম্যানদের দিকেই বাড়িয়ে রাখে বন্ধুতার হাত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলে গেছে। মিরপুরের উইকেট এখন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর উইকেট। এতে ব্যাটসম্যানদের দিকে বেশি সহায়তা থাকবে, নাকি বোলাররা পাবেন স্বর্গরাজ্য, তা নিয়ে আছে ঘোরতর সংশয়।

ঢাকা টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সেই সংশয়ের কথা ফুটে উঠলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়কের কণ্ঠেও। মাহমুদুল্লাহ শনিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার সাথে সবাই একমত হবেন, মিরপুরের উইকেট সবসময়ই একটু অনিশ্চিত থাকে। আপনি যেটা প্রত্যাশা করবেন, সেটা না হলে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা এই ম্যাচে যাচ্ছি মাথা শূন্য করে। পিচ বা কন্ডিশন যেমন হবে, সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আগেই বলেছি কিছু কিছু জিনিস আমরা ঠিক করেছি, আমরা সেগুলো করবো না। একই সাথে আমাদের শটসগুলোও, যার যার যেই স্ট্রং জোনে শট থাকে, সেগুলো যদি মনোযোগ দিয়ে আমরা খেলতে পারি, তাহলে পারফর্ম্যান্স দেখাতে পারবো। এই জিনিস গুলোই আমাদের মাথায় কাজ করছে।’

সিলেট টেস্টে হারের পর হতাশায় মাহমুদুল্লাহ বলে ফেলেছিলেন যে এভাবে খেললে টেস্ট খেলার মনে হয় না। শনিবার এ বিষয়ে আবার ব্যাখা দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি শেষ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এভাবে টেস্ট খেলার কোন মানে হয় না। এক ধরনের হতাশা কাজ করে, কারণ ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ জেতার প্রত্যাশা ছিলো। এমন প্রত্যাশা সবারই থাকে, ব্যক্তিগত প্রত্যাশাও থাকে।’

উইকেট নিয়ে দিশাহীন থাকলেও মাহমুদুল্লার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে আত্মবিশ্বাস। যে কোনো পরিস্থিততে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি।