মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত বাংলাদেশি যুবক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া আকায়েদ উল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি যুবককে সন্ত্রাসবাদের ছয়টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির একটি আদালত। এক সপ্তাহ শুনানি শেষে ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদেশ দেয়।

তবে এ মামলায় রায়ের তারিখ জানায়নি মার্কিন আদালত। দেশটির আইন অনুযায়ী এসব অপরাধে ২৮ বছর বয়সী এ তরুণের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর সকালে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অফিসগামীদের ভিড়ের মধ্যে শরীরে বাঁধা ‘পাইপ বোমা’র বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আকায়েদ স্বীকার করেছেন যে, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এ হামলা চালান।

পরে আকায়েদের বিরুদ্ধে ছয়টি গুরুতর অভিযোগ এনে একটি মামলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করা, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার করা, পাবলিক প্লেসে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করা। এর সবগুলোতেই তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে আদালতে শুনানিতে আকায়েদের আইনজীবী জুলিয়া গাটো বলেন, ‘তার মক্কেল কখনোই আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ছিলেন না। তিনি হতাশার কারণে আত্মহত্যা করতে বিস্ফোরণ ঘটান।’

আকায়েদের জন্ম চট্টগ্রামে হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকার হাজারীবাগে। তিনি আট বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এ সময়ের মধ্যে আকায়েদ প্রথমে ট্যাক্সিক্যাব চালালেও পরে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজ করতেন।

আকায়েদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দেড় বছরের সন্তান নিয়ে ঢাকার জিগাতলায় থাকেন। ঘটনার পর গত বছর তার পরিবারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশের পুলিশ। তখন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসী বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আকায়েদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।