নয়াপল্টনে তরিকুলের দ্বিতীয় জানাজা, বিএনপির শেষ শ্রদ্ধা

প্রবীণ রাজনীতিক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ১০ এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ফুল দিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জানাজা নামাজে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহম্মদ আজম খান, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবদীন, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম সাহেব দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি এই ক্রান্তিকালে চলে গিয়ে আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছেন। এই দুঃসময়ে তার চলে যাওয়া দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

তিনি আরো বলেন, ‘উচ্চ মানের প্রজ্ঞাবান নেতা তরিকুল সাহেব খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য কাজ করেছেন। এই জাতীয় নেতা অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করেননি।’

এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তরিকুল ইসলামের মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। পরে ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক জানাজায় ইমামতি করেন।

জানাজা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জাননো হয়। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্বজনরা দেখার পর রাতে শান্তিনগর মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টায় যশোর ঈদগাঁ মাঠে জানাজা শেষে তরিকুলকে স্থানীয় কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে।

গতকাল রোববার ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।

পারিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। এর আগে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন।