মুশফিকের কাঁধে পাহাড়-ভার

২৮২ রানে জিম্বাবুয়েকে আটকে দিয়ে যে স্বস্তি পেয়েছিলো বাংলাদেশ, ব্যাটিংয়ে নামার ১০ ওভারের মধ্যেই তা হাওয়া। এক সেশন খেলতে না খেলতেই নেই বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে, চার বিরতির আগে মুশফিকুর রহিম ও আরিফুল যদি ২৫ রানের জুটিটি না গড়তেন, কে জানে, চার বিরতির আগেই হয়তো গুটিয়ে যেতো স্বাগতিকরা!

এই পরিস্থিতি, মুশফিকুর রহিমের কাঁধে আপাতত পাহাড় সমান ভার। সঙ্গী হিসেবে তিনি পাচ্ছেন আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ ও টেল এন্ডারদের ব্যাটসম্যানদের। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে, পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে মোটে ৭৪ রান।

তাইজুলের ইসলামের ঘূর্ণির সামনে বেসামাল জিম্বাবুয়ে তাদের শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ২১ রানে। তারা গুটিয়ে যায় ২৮২ রান করে। তাইজুল তুলে নেন ছয়টি উইকেট।

এই পারফর্ম্যান্স যখন সিলেটের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়ছিলো অনেকটা, তার চেয়ে বেশি তার পিছিয়ে পড়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার পুরো হওয়ার আগে চার উইকেট হারিয়ে। ৪৯ রানে গিয়ে পড়ে পঞ্চম উইকেট।

ওয়ানডে সিরিজে ৩৪৯ রান করে চমকে দেয়া ইমরুল টেস্ট সিরিজের প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। বিশেষ করে অফস্টাম্পের বাইরে বলে তাকে মনে হচ্ছিলো দ্বিধাগ্রস্ত। এই রকম দ্বিধার মধ্যে থাকতে থাকতেই চাতারার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

ইমরুলের আউটের তুলনায় লিটনের আউটটি ছিলো কাইল জারভিসের মুনসিয়ানা। নির্দিষ্ট লাইনে লেন্থ পরিবর্তন করে বোলিং করে যাচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যেই গড়বড় পাকিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

প্রথম দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ চাতারার পঞ্চম এবং ইনিংসের দশম ওভারে হারায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও। মাত্র ১৯ রানে পড়ে যায় বাংলাদেশের চার উইকেট!

এরপর জুটি গড়েন মুমিনুল ও মুশফিক। কিন্তু ৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা। ষষ্ঠ উইকেটে আপাতত মুশফিকের সঙ্গী আরিফুল। কদিন আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করা আরিফুলের টেস্ট অভিষেক হলো এই ম্যাচ দিয়েই। মুশফিক যদি তার স্বভাবসূলভ লড়াইটা চালাতে পারেন এবং আরিফুল যদি অভিষেক রাঙানোর ইচ্ছে পূরণের পথে দৃঢ় হন, তাহলেই কেবল বিপর্যয় এড়াতে পারে বাংলাদেশ।