সিলেটের অভিষেকে বাংলাদেশের টস হার, নতুন মুখ দুই

অবশেষে স্বপ্ন সত্য করে টেস্ট ক্রিকেটে শুরু হলো সিলেটের যাত্রা। সিলেটের অভিষেকলগ্নে টস হেরে গেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ দলে এই ম্যাচে দুজনের অভিষেক হচ্ছে। পেস-বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করছেন।

চলতি জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করেন আরিফুল। ডানহাতি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত মোট ৭৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৩.৭১ গড়ে ৩৪০৫ রান করেছেন। সঙ্গে আছে আটটি সেঞ্চুরি এবং ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি। ৭৬ ম্যাচে ১০০টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে আটবার ইনিংসে চারটি এবং একবার পাঁচটি উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে।

নাজমুল ইসলাম অপু, বাঁহাতি স্পিনার, খেলেছেন ৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং এতে শিকার করেছেন ১৪৪টি উইকেট। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন সাত এবং পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ওভার প্রতি তিন রানেরও কম খরচ করেছেন তিনি।

এই ম্যাচে একাদশে ফিরেছেন নাজমুল ইসলাম শান্ত। ২০১৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে হঠাৎ করেই অভিষেক হয় শান্তর। দলের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান এক সঙ্গে ইনজুরিতে পড়ে যাওয়ায় তাকে মাঠে নামিয়ে দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ম্যাচের পর আবার একাদশে ফিরলেন শান্ত। 

সিলেটের উইকেট কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতুহল আছে দুই দলেরই। বর্তমান বাংলাদেশ দলে এমন খেলোয়াড় একজনও নেই, যে এই স্টেডিয়ামে খেলেননি। কিন্তু উইকেট সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা কারো নেই। কারণ এখানে দীর্ঘ পরিসরের খেলা খুব বেশি হয় না। এ ছাড়া প্রথম টেস্টের জন্য আন্তর্জাতিক মানের উইকেট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক।

সেই আন্তর্জাতিক মানটা আসলে কেমন, আপাতত তা অনিশ্চিত। সুতরাং এই স্টেডিয়ামের উইকেট বাংলাদেশের জন্য যতোটা অচেনা, জিম্বাবুয়ের জন্যও ততোটা। এই একটা জায়গায় সমতায় থেকে সিরিজ শুরু করবে দুই দল।

টেস্ট সিরিজের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দেখিয়েছে অসাধারণ প্রতাপ। যেখানে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশের এই ওপেনার ছিলেন অসাধারণ। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে সেঞ্চুরি করেন তিনি। অন্যটিতে করেন ৯০ রান।

এর আগে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে মোট ১৪টি টেস্টে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ে। পাঁচটি জয় বাংলাদেশের। বাকি ম্যাচগুলোতে কোনো ফল আসেনি।

বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম অপু ও আবু জায়েদ রাহী।