নতুন পেসারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের কোচ

বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পরই দীর্ঘদেহী কার্যকর পেসারের অভাবের কথা বলেছিলেন স্টিভ রোডস। কণ্ঠে ঝড়েছিলো আফসোস। সেই আফসোসের মধ্যেই তার জন্য আনন্দ-সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। সিলেট বিভাগের এই দীর্ঘদেহী পেসারের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা দেখেন রোডস। দেড় মাস আগে, বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোড বলেন যে, খালেদই হতে পারেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নতুন অস্ত্র।

কোচের দেখা সম্ভাবনার আলো নিয়ে তিন নভেম্বরই হাজির হয়ে যেতে পারেন খালেদ। এ দিন থেকে সিলেটে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। যেখানে দেখা যেত পারে খালেদকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের টেস্ট অঙ্গনে পা পড়ার দিন আর খালেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরুর দিন মিশে যেতে পারে এক বিন্দুতে।

সিরিজ শুরুর দুদিন আগে, বৃহস্পতিবার খালেদকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রোডস। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খালেদকে নিয়ে আশাবাদী। তাকে টেস্ট দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখেই ভালো লাগছে।’

বাংলাদেশের কোচ আরো বলেন, ‘খালেদ দীর্ঘদেহী। ফলে সে ঠিক জায়গায় হিট করতে পারে। আমার মনে হয় সে এমন একজন বোলার, যে কোনো ধরনের কন্ডিশনে যার ভালো কিছু করার ক্ষমতা আছে।’

কোচের মনে খালেদকে এ নিয়ে উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়িটা বাড়িয়ে দিয়েছে তার সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স। জাতীয় লিগের গত রাউন্ডের খেলা চলার সময়ই জাতীয় দলে ডাক পান খালেদ। ওই ম্যাচের দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট তুলে নেন তিনি। সিলেট বিভাগের হয়ে তার ওই রকম পারফর্ম্যান্স আরো আশাবাদী করে তুলেছে কোচকে।

খালেদ আহমেদ এখন পর্যন্ত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং ২২টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম শ্রেণিতে তার মোট শিকার ৪৮টি আর লিস্ট-তে তিনি নিয়েছেন ৩৪টি উইকেট। সব মিলিয়ে ২৬ বছর বয়সী এই পেসার নিজেকে মোটামুটি প্রমাণ করেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় কোচের উচ্ছ্বাসের কতোটা তিনি যৌক্তিক বলে প্রমাণ করতে পারেন।