ফুটবলকে পার্সির অগ্রিম বিদায়

ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কয়েক বছর আগেই পেছনে ফেলেছেন রবিন ফন পার্সি। ক্লাবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটা ব্রাজিল বিশ্বকাপেও বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ডাচ এই স্ট্রাইকার। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে তো দেখাই যায়নি তাকে। নেদারল্যান্ডস যে ওই আসরের মূলপর্বের টিকিটই পায়নি!

বয়স ৩৫ হয়ে গেছে। ব্রাজিলের আসরটাই পার্সির জন্য শেষ বিশ্বকাপ হয়ে থাকল। আসন্ন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও আর খেলা হচ্ছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলারের। বুধবার পেশাদার ফুটবলকে অগ্রিম বিদায় বলে দিয়েছেন পার্সি। জানিয়েছেন এই মৌসুম শেষেই নির্বাসনে চলে যাচ্ছেন তিনি।

অবসর ঘোষণার বেলায় অন্যদের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রমী থাকলেন পার্সি। অন্যরা প্রথমে জাতীয় দলকে বিদায় জানায়, তারপর ক্লাব ক্যারিয়ার ইতি টানার কথা ভাবেন। কিন্তু পার্সি দুটোকে এক সঙ্গেই গুডবাই জানিয়ে দিলেন। তার আচমকা এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছেন ফুটবলপ্রেমী থেকে শুরু করে ফুটবলবোদ্ধা পর্যন্ত।

পার্সি তারকা খ্যাতি পেয়েছেন আর্সেনালে থাকাকালীনই। দলটির সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের আট বছরের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হয়ে উঠেছিলেন ডাচ তারকা। ২০১২ সালে পার্সিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ডেকে নেন ক্লাবের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন।

রেড ডেভিলসদের ২০তম ইংলিশ লিগ শিরোপা জিতিয়ে কোচিং থেকে স্থায়ী ছুটি নিয়েছেন স্কটিশ কোচ। গুরুর সঙ্গে, শিষ্যেরও প্রস্থান ঘটেছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ড চত্বর ছেড়ে পার্সি ফিরে এসেছেন পুরনো ক্লাব ফেনুর্ডে। ডাচ এই ক্লাবের জার্সিতেই পেশাদার ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল পার্সির।

এবার শেষটাও এই ক্লাবের জার্সিতেই করতে যাচ্ছেন ডাচ স্ট্রাইকার। বুধবার ডাচ পাবলিকেশন অ্যাডকে পার্সি বলেছেন, ‘কখন আমাকে থামতে হবে? সম্ভবত এই মৌসুমের শেষে। এটাই আমার লক্ষ্য। আমার বয়স তখন ৩৬ হবে এবং পেশাদার হিসেবে আমার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। সেই যে পাঁচ বছর থেকে ফুটবল ধরেছি...।’

পার্সির কথাতেই স্পষ্ট। বয়স হয়েছে তার। ক্লান্তিও ছুঁয়ে গেছে তাকে।

এক নজরে পার্সির ক্যারিয়ার

জাতীয় দল: নেদারল্যান্ডস (২০০৫-২০১৮)
ম্যাচ: ১০২, গোল: ৫০
রানার্সআপ: ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ
তৃতীয়: ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ

ক্লাব ক্যারিয়ার:
ফেনুর্ড (২০০১-০৪)
শিরোপা: উয়েফা সুপার কাপ (২০০১-০২)
ম্যাচ: ৬১, গোল: ১৫

আর্সেনাল (২০০৪-০৮)
ম্যাচ: ১৯৪, গোল ৯৬
শিরোপা: এফএ কাপ (২০০৪-০৫)
এফএ কমিউনিটি শিল্ড (২০০৪)

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (২০১২-১৫)
ম্যাচ ৮৬, গোল: ৪৮
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (২০১২-১৩)
এফএ কমিউনিটি শিল্ড (২০১৩)

ফেনারব্যাচ (২০১৫-১৮)
ম্যাচ ৫৭: গোল ২৫

ফেনুর্ড (২০১৮*)
ম্যাচ: ১৬, গোল: ৯
শিরোপা: ইয়োহান ক্রুইফ শিল্ড (২০১৮)
কেএনভিবি কাপ (২০১৭-১৮)