জাতীয় লীগ: মুমিনুলের ব্যাটে 'স্বস্তির হাওয়া'

তিন ওয়ানডের সিরিজ শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তারপর উইন্ডিজ সিরিজেও আছে দুটি টেস্ট। অর্থাৎ অল্প সময়ের ব্যবধানে চার টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে এই চার টেস্টে দলের সেরা দু্ই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ওই হতাশার মধ্যে স্বস্তির একটা সুবাস নিয়ে এলেন মুমিনুল হক।

'টেস্ট স্পেশালিস্ট' বনে যাওয়া ছোটখাট গড়নের এই ক্রিকেটার রান পেয়েছেন। সাকিব-তামিমের ইনজুরির মধ্যে মুমিনুলের রানে ফেরার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির খবরই।

অনেকদিন যাবত প্রত্যাশা মতো রান পাচ্ছিলেন না মুমিনুল। 'এ' দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে আলোচিত এক সেঞ্চুরি করার পর কেন জানি নুইয়ে পড়েছিলেন। জাতীয় লিগে সেট হওয়ার পরও বড় রান পাচ্ছিলেন না। সেই বিষয়টা থেকে আজ কিছুটা বেরিয়ে আসতে পেরেছেন মুমিনুল। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে দারুণ এক ফিফটি করে অপরাজিত রয়েছেন।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হলো চট্টগ্রামের হয়ে মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে। ৫৯ বল খেলে এই ৬২ রান করেছেন মুমিনুল। তার সাথে ৪৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন তাসামুল হক। এই দুজনের ব্যাটে ম্যাচ জয়ের অনেকটা কাছাকাছি চট্টগ্রাম। তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার সময় তাদের স্কোর ছিল ১১৩/২। অর্থাৎ জিততে হলে শেষ দিনে ৮৯ রান তুলতে হবে চট্টগ্রামকে, হাতে আট উইকেট।

ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংসে ২৮৮ রান তোলে। পরে চট্টগ্রাম তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রান করেছিল। ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫১ রানে গুটিয়ে গেলে জয়ের সুযোগ তৈরি হয় চট্টগ্রামের।

এদিকে অপর ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ দিনে ১৫৯ রান দরকার বরিশাল বিভাগের। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৭১ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। আর রংপুর তাদের প্রথম দুই ইনিংসে রান তুলেছিল ১৪৭ ও ২২৮।

ঢাকা মেট্রো আর সিলেট বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে ঢাকা। জয়ের জন্য কাল শেষ দিনে ১৬৯ রান তুলতে হবে ঢাকাকে, হাতে রয়েছে নয় উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৮ রান তুলে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম ইনিংসে ঠিক ৩০০ রান করেছিল দলটি। আর সিলেট তাদের দুই ইনিংসে তুলেছে যথাক্রমে ৩১২ ও ১৮৪ রান।