চাকরি হারাতে পারেন রিয়াল কোচ!

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলে গেছেন জুভেন্টাসে। পর্তুগিজ উইঙ্গারকে ছাড়া নতুন মৌসুমটা যে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য কঠিন হবে সেটা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। হলোও তাই। রোনালদোর অনুপস্থিতিতে ম্যাচের পর ম্যাচ ধুঁকছে ইউরোপ সেরা দলটি।

শুধু সেরা খেলোয়াড় নন, ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এবং সফল কোচ জিনেদিন জিদানও বিদায় বলে দিয়েছেন রিয়ালকে। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে অনেকটা নাটকীয়ভাবে ফ্রেঞ্চ কোচের উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হুলেন লোপেতেগুইকে।

রোনালদোবিহীন দল নিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না স্প্যানিশ এই কোচ। সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা একাদশই নির্বাচন করতে পারেননি তিনি। ম্যাচের পর পর দল নিয়ে কাটাছেড়া করে যাচ্ছেন লোপেতেগুই। তাতে টসি ক্রুসের মতো পরীক্ষিত প্লে-মেকারকেও নিজের পজিশন বদলাতে হয়েছে!

কোচের এই ধরণের রণকৌশল নীতিটা অনেকেরই পছন্দ হয়নি। ক্লাবের সমর্থকরা মুণ্ডুপাত করেই চলেছেন স্পেনের সাবেক কোচের। শুধু তাই নয়, ‘লোপেতেগুই হঠাও’ আন্দোলনও শুরু করে দিয়েছেন রিয়ালের একাংশের সমর্থকরা। রিয়াল কোচের যা পারফরম্যান্স যে কোনো সময় তিনি নির্বাসিত হলে সেটা বিস্ময়কর কিছু হবে না।

অবশ্য লোপেতেগুইর অধীনে মৌসুমের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি রিয়ালের। কঠিন বাস্তবতা এখন টের পাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ। তার অধীনে সবধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ ধরে জয়হীন রিয়াল। জয় তো দূরের কথা, ৩৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম টানা চার ম্যাচে গোলই করতে পারেনি রিয়াল।

লোপেতেগুই যে বেশ চাপে আছেন সেটা পরিষ্কার। দ্রুতই পরিস্থিতি না বদলালে তাকে অব্যাহতি দিয়ে দিতে পারেন ক্লাবের নীতিনির্ধারকরা। রিয়ালে লোপেতেগুইর ভবিষ্যৎ নিয়ে এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ঘানার কিংবদন্তি মিডফিল্ডার মাইকেল এসিয়েন।

বৃহস্পতিবার ওমনিস্পোর্টকে চেলসির সাবেক ফুটবলার বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ অনেক বড় ক্লাব। চাপটা কেমন আপনি অনুভব করতে পারছেন। এখানে পারফর্ম করতে না পারলে যে কারোর পক্ষেই থাকা কঠিন। যখন আপনি ভালো ফল এনে দিতে না পারবেন, এরপর কী হবে সেটা আপনিও জানেন।’

শুধু কোচ নন, পারফর্ম করতে না পারলে খেলোয়াড়দের বিদায় করে দেওয়া হয়। এসিয়েন নিজেই একটা উদাহরণ হয়ে আছেন। ২০১২ সালে চেলসি থেকে রিয়ালে ধারে খেলতে এসে এক মৌসুমের বেশি টিকতে পারেননি তিনি।