সম্পাদক পরিষদ: প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছেন তিন মন্ত্রী

দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ জানিয়েছে, 'তিন মন্ত্রী প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছেন।' শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদের লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

শ্যামল দত্ত বলেন, 'আইনটি নিয়ে মন্ত্রীসভার তিন সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে এবং এতে গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন, পরিমার্জনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু এসবের কিছুই না হওয়ায় আমরা বিস্মিত।'

সম্পাদক পরিষদকে তিন মন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটির বরখেলাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শ্যামল দত্ত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘বিতর্কিত’ নয়টি ধারা সংশোধনের দাবিতে আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্পাদক পরিষদ মানববন্ধন করবে বলে জানানো হয়েছে।

সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারাগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলির স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, 'আমাদের পরিষদ কখনোই আইনটি বাতিল চায়নি। নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারার পরিবর্তন চেয়েছে। ভারত সরকার এ ধরনের একটি আইন পাস করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের হাইকোর্ট এটিকে অসাংবিধানিক অভিহিত করে বাতিল করে দেয়।'

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামসহ আরো অনেকে।