কার্ডবন্যার পর এমবাপ্পের গোলবন্যা

নিজের দিনে কিলিয়ান এমবাপ্পে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল অলিম্পিক লিওঁ। রোববার লিগ ওয়ানে নয় মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করলেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার, ১৩ মিনিটের মধ্যে পেলেন চতুর্থ গোলের দেখা।

এমবাপ্পের এই আগুনঝরা পারফরম্যান্সে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে গেল লিওঁ। প্যারিস সেন্ট জার্মেইও (পিএসজি) তুলে নিয়েছে প্রত্যাশিত বড়। এদিন পার্ক ডু প্রিন্সেসে দশ জনের দল নিয়েই লিঁওকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।

একচ্ছত্র আধিপত্যের এই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটা সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে টমাস টুখেলের দল। শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে ছোটা পিএসজির নয় ম্যাচে অর্জন ২৯ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা লিঁল তাদের চেয়ে আট পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।

প্যারিসে ম্যাচের বয়স দুই অংক ছোঁয়ার আগে পিএসজিকে লিড এনে দেন নেইমার। পেনাল্টি থেকে লিওঁর জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তখনো ঠিক বোঝার উপায় না ছিল যে, ম্যাচটায় কী হতে চলেছে। ১-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা।

এমবাপ্পে রূদ্রমূর্তি ধারণ করলেন বিরতির পর। ৬১ মিনিটে ফ্রেঞ্চ সেনসেশন করেন নিজের প্রথম গোল; ৬৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক। মাঝের গোলটি করেছেন ৬৬ মিনিটে। লিগের চলতি আসরে এটা তার সপ্তম গোল। তবু যেন গোলক্ষুধা কমল না এমবাপ্পের।

৭৪ মিনিটে নিজের চতুর্থ গোলটি করে লিওঁর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা তরুণ। পিএসজির গোল উৎসবের সমাপ্তি হলো এখানেই। দলের শুরুর গোলেও প্রত্যক্ষ অবদান ছিল এমবাপ্পের। ম্যাচের নয় মিনিটে লিঁওর ডি-বক্সে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি।

স্পট কিক থেকে মৌসুমের ১১তম গোলটি করতে বেগ পেতে হলো না নেইমারকে। দারুণ শুরু হলেও প্রথমার্ধে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেল পিএসজির ওপর দিয়ে। ৩৩ মিনিটে লিওঁ মিডফিল্ডার এনডেম্বেলেকে মারাত্মক ট্যাকল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে।

কয়েক মিনিটের ব্যবধানে হলুদ কার্ড দেখলেন নেইমার এবং মার্কো ভেরাত্তি। কার্ডের বন্যা এখানেই শেষ নয়, প্রথমার্ধের শেষ দিকে এমবাপ্পেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান লিওঁ মিডফিল্ডার লুকা। ১০ জনের দলে পরিণত হলো দুই দলই।

দ্বিতীয়ার্ধে থেমেছে কার্ডের জোয়ার। শুরু হলো এমবাপ্পের গোল গোলবন্যা। তাতে ভেসে গেল লিওঁ।