তুরস্ক: নিখোঁজ সাংবাদিককে সৌদি দূতাবাসেই হত্যা করা হয়েছে

তুরস্কে সৌদি দূতাবাসে ঢুকে নিখোঁজ হওয়া বিশিষ্ট সাংবাদিক জামাল খাশোগগিকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, চার দিন আগে একটি কাজে সৌদি দূতাবাসে যাওয়ার পর সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। এদিকে তুরস্কের এমন আভিযোগ নাকচ করেছে সৌদি আরব।

শনিবার (৬ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তুর্কি পুলিশ জানায় 'প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিখোঁজ সাংবাদিক সৌদি দূতাবাসে যাওয়ার পর তাকে হত্যা করে লাশ কোথাও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।'

সাংবাদিক জামাল খাশোগগি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতেন। সৌদিতে সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের ওপর দমনাভিযান শুরুর পর দেশ ছাড়েন তিনি। আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সৌদি আরবে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। সরকারের নীতিকে প্রশ্ন করলেই নাগরিকদের আটক করে কারাবন্দি করা হচ্ছে।

খাশোগগি ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে ভ্রমণ এবং সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত ছিলেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী লড়াই নিয়ে লেখালেখি করতেন তিনি। ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে বিন লাদেনের সঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন এই সাংবাদিক।

উল্লেখ্য, আগামী মাসে বিয়ে করবেন বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন জামাল খাশোগগি। এ সময় তার সঙ্গে হবু স্ত্রীও দূতাবাসে যান। কিন্তু তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। খাশোগগিকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও নিতে দেওয়া হয়নি। এরপর থেকেই তিনি আর বাইরে বের হননি।

চারদিন হলো সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক এই সংবাদিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাকে জীবিত বা মৃত যেকোনো অবস্থায় খুঁজে বের করতে তুরস্ক সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে আল জাজিরার তুর্কি প্রতিনিধি জামাল এলশায়াল প্রতিবেদন করেছেন।