আ.লীগের ভোট বেড়ে ৪২ শতাংশ!

টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে দলটি। চলতি বছরেই শেষ হবে চলতি সরকারের মেয়াদ। কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভোট বেড়ে মাত্র ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম দাবি করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ভোট ৪২ শতাংশ এবং বিএনপির ভোট ৩০ শতাংশ হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের কারণে আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে।

এ বিষয়ে সমীক্ষার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির ভোট ছিল ৩০ শতাংশ। ২০১৮ সালে এসেও তাদের ভোট সেই ৩০ শতাংশই আছে। কিন্তু দেশ ও জনগণের উন্নয়নের কারণে আওয়ামী লীগের ভোট বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী এই নেতা বলেন, ‘আত্মতুষ্টির কারণে প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাববেন না। কারণ, তারা মোটেই দুর্বল নয়। জিততে পারনে এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিকেই এবার মনোনয়ন দেয়া হবে। কাজেই জিতিয়ে দেয়া হবে, এ আশায় কেউ বসে থাকবেন না।’

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তৈরি হতে বলেছেন।

নির্বাচনের বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, নভেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই হাতে মাত্র তিন সপ্তাহ সময় আঝে। ফলে যা কিছু করার এখনই করতে হবে। কারণ, তফসিলের পর নির্বাচনী আইন মেনে চলতে হবে। তখন আর কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।’

নির্বাচনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জোর-জবরদস্তি করব না। ভোট ডাকাতি করেও বিজয়ী হব না। নবীন ভোটারদের কাছে উন্নয়নের বার্তা এবং বিএনপি-জামায়াতের কুকর্ম তুলে ধরতে হবে।’

নির্বাচনী প্রচারণায় ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘শুধু বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিলে হবে না। পাল্টা প্রচারে আক্রমণাত্মক হতে হবে। কারণ, এবার আওয়ামী লীগের পরাজয় হলে দেশ পিছিয়ে যাবে, হোঁচট খাবে।’

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম। এতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তার ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাতটি নাটকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী, শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও শম্পা রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।