খালেদার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারসহ বিএনপির সাত দফা দাবি

খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি তুলেছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই দাবি বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।

আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে বিএনপি। প্রধান অতিথি ছিলেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মঞ্চে তার জন্য একটি চেয়ারও খালি রাখা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই জনসভা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে। দফাগুলো হচ্ছে...

১) খালেদা জিয়ার মুক্তি।

২) জাতীয় সংসদ বাতিল করা।

৩) সরকারের পদত্যাগ ও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা।

৪) সুষ্ঠু নির্বাচনে স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্রবাহিনী নিয়োগ।

৫) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা

৬) নির্বাচনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ এবং তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা।

৭) ক. বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

খ. তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলা স্থগিত ও নতুন মামলা না দেওয়া।

গ. পুরোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা।

ঘ. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের এবং সাংবাদিকদের আন্দোলন ও মত প্রকাশের কারণে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়া।

গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও আজ সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিনত হয়।

রবিবার সকাল থেকে দলের শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলে ও এর আশপাশে বিপুল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন ছিলো। পুলিশের বেধে দেয়া শর্ত অনুযায়ী, বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছিলো বিএনপিকে।

গত শনিবার, ২২টি শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।