পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কা নয়, বাংলাদেশই ভারতের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী!

এশিয়া কাপের গত চার আসরের মধ্যে তিনটিতেই ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। আগের দুবারের মতো গতকালের ফাইনালও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। হড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে শেষ বলে গিয়ে ভারতের কাছে তিন উইকেটে হেরেছে মাশরাফির দল। হারলেও বাংলাদেশের লড়াকু ক্রিকেট মুগ্ধ করেছে ক্রিকেটবিশ্বকে।

মুগ্ধ করেছে প্রতিপক্ষকেও। ম্যাচ শেষে মাশরাফি আর বাংলাদেশের প্রসংশা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় গণমাধ্যমেও চলছে বাংলাদেশের প্রসংশা। ভারতীয় গণমাধ্যমে এটাও বুঝানো হয়েছে, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কা নয় বাংলাদেশই তাদের পরবর্তী বড় প্রতিদ্বন্দ্বী!

গতকাল এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আন্দনবাজারে কলাম লিখেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি গত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের উদাহরণ টেনে লিখেন, 'এই দুই ঘটনায় (গত নিদাহস ট্রফির ফাইনাল ও কালকের এশিয়া কাপ ফাইনাল) বোঝা যায়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কিন্তু ক্রমশ ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিয়েছে। সমানে সমানে টক্কর দেওয়াটা এখন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। শুধু অভিজ্ঞতার অভাবে এই চাপ কাটিয়ে জিততে পারছে না তারা, এই যা। তবে এই সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে তাঁদের খুব বেশি সময় লাগবে না বোধহয়।'

তিনি লিখেন, 'যে ভাবে ভারতকে এ দিন শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেন মাশরফি মর্তুজারা, তার পরে (তাদের উন্নতির) এ কথা স্বীকার করতেই হচ্ছে। ১৭ ওভারের মধ্যেই শিখর ধাওয়ান, অম্বাতি রাইডু ও রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে মর্তুজারা যে চাপটা তৈরি করেছিলেন, ৩০ ওভারের পরে দীনেশ কার্তিক ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ফিরিয়ে তা আরও বাড়িয়ে তোলেন। যা শেষ বল পর্যন্ত রেখেছিলেন তাঁরা।'

ভারতের পরিচিত এই ক্রিকেট লেখক লিখেন, 'এক সময় বাংলাদেশের স্কোর ১২০/০। সেখান থেকে ২২২ রানে অল আউট! এ যেমন বাংলাদেশের একটা দিক, তেমনই ২২২ রান তুলেও ভারতের সাত উইকেট ফেলে দিয়ে শেষ বল পর্যন্ত জেতার লড়াইয়ে থাকা, এটা বাংলাদেশের আরেক দিক। শুক্রবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপে যে বাংলাদেশকে দেখল ক্রিকেটবিশ্ব, তা এক নতুন বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো বিশ্বকাপজয়ী দল যখন ক্রমশ ব্যর্থতার অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে, তখন বাংলাদেশের এই উত্থান এশিয়ার ক্রিকেটের পক্ষে অবশ্যই ভাল খবর।'

তিনি লিখেন, 'ওপেনাররা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও ওদের বোলারদের নিখুঁত স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং আর অনবদ্য ফিল্ডিংই ওদের জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে চলে এসেছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবই ওদের শেষ বলে জয় পেতে দেয়নি।'