মুশফিকের ৯৯ রান এবং যা কিছু প্রথম...

এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। জয়ী দল ২৮ তারিখ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতের। চাপের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুর্জা। সাকিবহীন বাংলাদেশের ১২ রানেই নেই তিন উইকেট। এরপরই হাল ধরলেন মুশফিক। বিপদের মুখে শক্তহাতে হাল ধরলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা আফসোস নিয়েই দলীয় ১৯৭ রানে ফিরে গেলেন তিনি।

শুরুতেই বিপর্যয়ের সামলাতে ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ান মুশফিক আর মিঠুন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রান করেন মিঠুন। কিন্তু তারপরও পাঁজরের চোটটা ব্যথানাশক ইনজেকশন সামলিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যান মুশফিক। দুবাইয়ের উত্তপ্ত আবহাওয়ায় কখনো তাকে ভীষণ হাঁপিয়ে উঠতেও দেখা যায়। এমন দুর্দান্ত লড়াইয়ের শেষটা হলো বড় ধরনের আফসোস নিয়ে। দলের সেরা ব্যাটসম্যানটি সাজঘরে ফিরে যান ৯৯ রানে।

মুশফিক যখন ৯৫ রানে ব্যাট করছিলেন তখন বোলিংয়ে আসলেন তরুণ পাকিস্তানি বোলার শাহিন আফ্রিদি। এসময় ইনকামিং একটি ডেলিভারি মুশফিকের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেট রক্ষককে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারি সীমানায়। মুশফিক চলে যান ৯৯ রানে। সেই ওভারেই এমন একটি বলেই পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। চমৎকার লড়াইটা শেষ হয় সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরেই।

মুশফিকের এই ৯৯ রানে অনেক কিছুই ঘটলো প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশি কোন ব্যাটসম্যান প্রথমবারের মতো ৯৯ রানে আউট হওয়ার আগুনে পুড়লো। এশিয়া কাপের ইতিহাসেও প্রথমবারের মতো ৯৯ রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যান মুশফিক।

ওয়ানডেতে অবশ্য ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক। সেবার ওপেন করতে নেমে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে প্রাইসের বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ৯০ রানে। টেস্টেও নব্বই রানের ঘরে আউট হয়েছেন তিনবার।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৯৯ রানে প্রথমবারের মতো আউট হন জেফ বয়কট। মুশফিক এই তালিকায় ৩৩তম। আর ৯৯ রানে অপরাজিত থাকার ঘটনা ঘটেছে ১৪ বার। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ তিনবার ৯৯ রানে আউট হয়েছেন ক্রিকেটের এই ভার্সনের রাজাধিরাজ শচীন টেন্ডুলকার। ২০০৭ সালে টেন্ডুলকার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন তিনবার।