অসাধারণ জয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শুরু

জয় দিয়ে এশিয়া কাপের সুরটা ঠিক করে রাখতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের ইচ্ছেটা পূরণ হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে। ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে যে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাটিং করে কম অবদান রাখেননি তামিম ইকবালও।

ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কাকে ২৬২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় পাঁচবারের এশিয়াকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা। মাশরাফি, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।

২৬২ রানের লক্ষ্য থাকলেও, তা চেজ করা খুব বেশি কঠিন হতো না। অন্তত আরব আমিরাতের ফ্লাট উইকেটে তো নয়ই। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন অসাধারণ। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই তারা শ্রীলঙ্কার তিনটি উইকেট ফেলে দেন, যা লঙ্কানদের ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয়।

বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে ১৩৭ রানে। এশিয়া কাপে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। এর আগে হংকংয়ের বিপক্ষে ১১৬ রানের জয় ছিলো বাংলাদেশের।

এর আগে, প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও বাংলাদেশ ২৬১ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রানের অসাধারণ জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। এ জুটিই মূলত বাংলাদেশকে এনে দেয় বড় স্কোরের ভিত।

যদিও মিডল অর্ডারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যর্থতা শ্রীলঙ্কাকেই টিকিয়ে রাখে ম্যাচে। যতো সময় গড়াতে থাকে বাংলাদেশের সামনে নেমে আসে থাকে ততোই অন্ধকার।

কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে নবম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভাঙা হাত নিয়ে খেলতে নামেন তামিম ইকবাল। এক হাতে ব্যাটিং করেন তিনি। সঙ্গী হিসেবে তাকে পেয়ে তিন চার ও তিন ছয়ে ৩২ রান যোগ করেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের অনিন্দ্য সুন্দর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের রান পৌঁছে যায় ২৬১ রানে।

মুশফিক ১৪৪ রান করেন। যা ওয়ানডেতে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সেরা রানের ইনিংস এবং এটি মুশফিকের ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।