আপনি পড়ছেন

ইসলামিক স্টেট বা আইএসের উত্থানে কয়েক বছর ধরে হিমশিম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বিশ্বকে। এতে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা অনেকটা আড়ালেই চলে যায়। তবে ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তাদের দাবি, জঙ্গি সংগঠনটি একেবারে শেষ হয়ে যায়নি, বরং পুনরুত্থান হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনটির বর্ধিত কাঠামো ও শক্তি-সামর্থ্য দেখে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

hamza bin laden2

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ কারণে হামজাকে নতুন হুমকি হিসেবেই দেখছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি অংশ হামজা বিন লাদেনকে হুমকি হিসেবে নিয়ে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, ইরাক ও সিরিয়ার ঘাঁটি থেকে আইএস বিতাড়িত হওয়ার পর অঞ্চলটিতে পরবর্তী বড় সন্ত্রাসী হুমকি আল-কায়েদার কাছ থেকেই আসতে পারে।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের ওই প্রতিবেদনটি নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া হয়েছে এবং গত আগস্টে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। 

এতে আল-কায়েদাকে এখনো অন্যতম বৈশ্বিক জঙ্গি নেটওয়ার্ক উল্লেখ করে বলা হয়, সোমালিয়া, ইয়েমেন, দক্ষিণ এশিয়ার মতো জায়গায় আইএসের চেয়ে আল-কায়েদাই বেশি শক্তিশালী। কারণ নিজের ‘সরব উপস্থিতি’ বিশ্ববাসীকে জানান দিতে চলতি বছর একাধিক বক্তব্য প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতা জাওয়াহিরি।

বিশ্বজুড়ে আল-কায়েদার তৎপরতা, সাংগঠনিক সক্ষমতা, সদস্য সংখ্যাসহ সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ব্রুস হফম্যান মনে করেন, সংগঠনটির পুনরুত্থান ঘটছে।

আল-কায়েদার ব্যাপারে একই মত প্রকাশ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার-এর ইনটেলিজেন্স প্ল্যানিং ডিরেক্টর জেনিফার কাফারেলা বলেন, ১৯৮৮ সালের ১১ আগস্ট আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরাক-সিরিয়ায় আইএসের পরাজয়ে এবং প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরের মাথায় সংগঠনটি পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেইসঙ্গে বৈশ্বিক জঙ্গিবাদী তৎপরতায় তারাই সম্ভবত নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে।

ব্রুসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আল-কায়েদার নেটওয়ার্কে প্রায় ৪০ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ায় ১০ থেকে ২০ হাজার, নয় হাজার সোমালিয়ায়, পাঁচ হাজার লিবিয়ায়, চার হাজার ইয়েমেনে, মেগরেব ও সাহেল অঞ্চলে চার হাজার, ইন্দোনেশিয়ায় তিন হাজার এবং সহস্রাধিক যোদ্ধা আছে দক্ষিণ এশিয়ায়।

আল-কায়েদার পুনরুত্থানের নেপথ্য কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে এই সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাই জঙ্গি সংগঠনটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।

আল-কায়েদাকে নিয়ে উদ্বেগের কারণ ওসামা বিন লাদেনের ২৯ বছর বয়সী ছেলে হামজা বিন লাদেন। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হামজা প্রকাশ্যে ওয়াশিংটন, লন্ডন, প্যারিস, তেলআবিবে হামলা চালাতে আল-কায়েদার অনুসারীদের আহ্বান জানান। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার পরবর্তী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন হামজা।

hamza bin laden

ধারণা করা হচ্ছে, আল-কায়েদার শীর্ষ পদ পেয়েছেন হামজা। আর তিনি বাবা হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরির ডেপুটি হিসেবে হামজাকে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিমা গোয়েন্দাদের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চাচাতো বোনকে হামজার বিয়ের বিষয়টিতে আল-কায়েদার বর্তমান চক্র সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। আর তাহলো, ৯/১১র হামলার চক্রটি এখনো আল-কায়েদার কেন্দ্রেই রয়ে গেছে এবং বিন লাদেনের উত্তরাধিকারকে ঘিরেই আল-কায়েদা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে হামজা বিন লাদেন যে এখন বড় ধরনের হুমকি, তা আমেরিকাও আমলে নিয়েছে। কেননা, ইতোমধ্যেই ওসামা-পুত্রকে বিশেষ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.