এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ব্যাটিং রেকর্ড

এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর। যেখানে এশিয়ান পাঁচ দেশের সাথে খেলবে বাংলাদেশও। এই আসরের অন্যতম ফেভারিট না হলেও বাংলাদেশের সামনে দারুণ কিছু করার সুযোগ আছে।

এশিয়া কাপে দুইবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ফাইনালে বাংলাদেশ হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে। সেটাও মাত্র দুই রানের ব্যবধানে। সেই দুঃখ ভোলার সুযোগ এসেছিলো ২০১৬ সালে। কিন্তু এবার ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। তাদের হারতে হয় আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

নতুন এশিয়া কাপের আগে ঘুরে আসা যাক বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্সে। দেখা যাক কেমন ছিলো বাংলাদেশের পাঁচটি সেরা ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স।

মুশফিকুর রহিম ১১৭, ভারতের বিপক্ষে

২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১১৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। যা এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস হয়ে আছে।

ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ২৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় ভারতকে। কিন্তু বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে সেই রান সহজেই ছুঁয়ে ফেলে ভারত। বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যায় ছয় উইকেটে।

অলোক কাপালি ১১৫, ভারতের বিপক্ষে

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি মাত্র দুটি। দুটিই এসেছে এশিয়া কাপে। এর মধ্যে প্রথমটি করেছেন অলোক কাপালি। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ৯৬ বলে ১১৫ রান করেন অলোক। ১০ চার ও পাঁচ ছয়ে সাজানো ছিলো তার ইনিসংটি। এখনো মনে করা হয়, কাপালির ওই ইনিসংটিই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শনীয় ইনিংস।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশ করে ২৮৩ রান। কিন্তু গৌতম গম্ভিরের ৯০ ও সুরেশ রায়নার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যায় সাত উইকেটের ব্যবধানে।

মোহাম্মদ আশরাফুল ১০৯, আরব আমিরাতের বিপক্ষে

২০০৮ সালের এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১০৯ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন সেই সময়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০০ রান করে বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে আরব আমিরাত গুটিয়ে যায় ২০৪ রানে। বাংলাদেশ পায় এশিয়া কাপে তাদের মাত্র দ্বিতীয় জয়। প্রথম জয়টা এসেছে ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে, হংকংয়ের বিপক্ষে।

আনামুল হক ১০০, পাকিস্তানের বিপক্ষে

২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন আনামুল হক বিজয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে ভর করে ৩২৬ রান করে বাংলাদেশ।

কিন্তু শহিদ আফ্রিদি বাংলাদেশের মুঠোর ভেতর থেকে ছিনিয়ে নেন জয়। তিনি মাত্র ২৫ বলে ৫৯ রান করে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে ম্যাচ জেতান তার দেশকে।

জুনায়েদ সিদ্দিকী ৯৭, পাকিস্তানের বিপক্ষে

জুনায়েদ সিদ্দিকীর নামটা প্রায় ভুলেই গেছে বাংলাদেশ। বেশ কিছু ম্যাচ খেললেও স্মরণীয় কিছু তিনি করতে পারেননি। তবে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের দিকে তাকালে তার নামটা পাওয়া যায় সেরা পাঁচেই।

২০‌১০ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৭ রান করেন তিনি। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিলো ৩৮৬ রান। এই বিশাল রানের পাহাড় ডিঙাতে পারেনি বাংলাদেশ। জুনায়েদের ৯৭ রানে ভর করেও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ২৪৬ রানে।