লেগ স্পিনারের হাহাকার ফুটে উঠছে অনুশীলনেও!

কদিন বাদেই এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর খেলতে আরব আমিরাত যাবে বাংলাদেশ দল। তার আগে এখন চলছে কঠোর অনুশীলন। যেখানে এশিয়ান দলগুলোর আক্রমণ ঠেকানোর পরিকল্পনায় ব্যস্ত বাংলাদেশ। এই ব্যস্ততার ছন্দ কাটা পড়ছে লেগ স্পিনারের সঙ্কটে।

এশিয়া কাপে রশিদ খান ও যুজবেন্দ্র চাহালদের মতো স্পিনারদের খেলতে হবে বাংলাদেশকে। দুজনই রিস্ট স্পিনার। এ ধরনের স্পিনারদের খেলতে যে রকম প্রস্তুতি দরকার, তা নিতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ অনুশীলনে যে এ রকম বোলিং করবেন, এমন বোলারই যে বাংলাদেশে নেই!

রোববার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এ সময় তার কণ্ঠে ফুটে উঠে রিস্ট স্পিনারদের অভাবের কথা। রশিদ-চাহালদের খেলতে কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে মিঠুন বলেন, 'আমরা যে লেগ স্পিনের বিপক্ষে খুব ভালো প্রস্তুতি নিবো, সে রকম কোনো সুযোগও নেই। কারণ আমাদের সে রকম স্পিনারের অভাব। ফলে প্রথাগত স্পিনারদের খেলে যতোটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচের সবগুলো হেরেছে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে রশিদ খান ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। তার সামনে স্রেফ উড়ে গেছেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা। এশিয়া কাপেও আছে সে রকম কিছুর শঙ্কা।

তারপরও মিঠুন দেখছেন ভালো কিছুর সম্ভবানা। তিনি বলেন, 'যদি শুরুটা ভালো হয় তাহলে আমরা অনেক দূর যেতে পারবো। এ ছাড়া শুরুতে একটা দারুণ ছন্দ পেয়ে গেলে খেলাটাও সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেখানে মোমেন্টাম পাওয়া ও তা ধরে রাখা খুব জরুরি। আমরা সেই চেষ্টাই করবো।'

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে কেবল দুইবার ফাইনাল খেলা। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে মাত্র দুই রানের জন্য হারতে হয় বাংলাদেশকে। পরে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে আরো একবার ফাইনাল খেলার সুযোগ হয় মাশরাফিদের।

এবার সেই সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মাশরাফি এরই মধ্যে দলের মধ্যে বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুত হতে।

বাংলাদেশের সাফল্য-ব্যর্থতার অনেকখানি নির্ভর করছে মোহাম্মদ মিঠুনের সফলতার উপর। ওই ব্যাটসম্যানকে দলে নেয়া হয়েছে শেষের দিকে ঝড় তোলার জন্য। তিনি সাধারণত টপঅর্ডারে ব্যাটিং করলেও এশিয়া কাপে তা হচ্ছে না। সাকিব আল হাসানকে সম্ভবত দেখা যাবে তিন নম্বরে। সে ক্ষেত্রে মিঠুনের খেলার জায়গা হলো পাঁচ নম্বরের পর। ছয় বা সাতই হতে পারে তার নির্ধারিত স্থান।

মিঠুন জানালেন, তার মূল কাজ হলো ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা। তা সেটা যে পজিশনেই হোক না কেনো। তিনি বলেন, 'আমার সহজাত খেলা হলো ইতিবাচক থাকা। আমি সেটাই থাকবো। ছয় বা সাত যে পজিশনেই খেলি না কেনো রানের চাকা সচল রাখবো এবং স্ট্রাইক রোটেট করবো। এটাই আমার কাজ। নতুন বলে খেললে একটু সময় পাওয়া যায়। এখন হয়তো সেটা পাবো না। নিচের দেকে খেললে ১১৫-১৩০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে হবে। আমার সেই প্রস্তুতি আছে।'