অবশেষে নিজেদের জানান দিলো ভারত

জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল ভারত। কিন্তু সফরকারীদের অপেক্ষায় রেখেছিল ইংল্যান্ডের দশম উইকেটের জুটিটা। আজ বুধবার পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরুতেই গুঁড়িয়ে গেছে ইংলিশদের শেষ প্রতিরোধ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক শিবির গুটিয়ে গেল ৩১৭ রানে। এদিন স্কোর বোর্ডে মাত্র ছয় রান যোগ করতে পারল ইংল্যান্ড।

আগের দিন ৩৪টি বল করেও শেষ জুটি ভাঙতে পারেনি ভারত। জেমস অ্যান্ডারসন ও আদিল রশিদকে বিচ্ছিন্ন করতে আজ সফরকারীদের করতে হলো মাত্র ১৭টি বল। রশিদ ৩৩ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। অন্যপ্রান্তে অ্যান্ডারসন আউট হয়ে গেলেন ব্যক্তিগত ১১ রানে।

২৬ রানের জুটি ভাঙেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাতেই ভারত জিতল ২০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। ইংল্যান্ডের মাটিতে এনিয়ে সপ্তমবার জিতল ভারত। এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ব্যবধান ২-১-এ নিয়ে এলো বিরাট কোহলির দল।

মঙ্গলবার রশিদ এবং অ্যান্ডারসন মিলে শেষ বিকেলটা পার করেছিলেন। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে ভারতের জয়টা বিলম্বিত করতে পারাটাই যেন ইংলিশদের জন্য সাফল্য হয়ে থাকল। বৃথাই গেল জস বাটলারের ১০৬ রানের ইনিংসটা। তবে দুই ইনিংসে ২০০ রান করার সুবাদে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন কোহলি (৯৭ ও ১০৩)।

প্রথম দুই টেস্টে হারার পর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল ভারতের। সিরিজে ফেরার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩২৯ রান করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ইংলিশরা গুটিয়ে গেছে ১৬১ রানে। ফিরতি ইনিংসে সাত উইকেটে ৩৫২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলিরা।

ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫২১ রান। যা প্রায় অসম্ভবই ছিল। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে ২১০ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। হার ঠেকাতে শেষ জুটিতে আজকের পুরোটা দিন কাটানোর দরকার ছিল। দুটোর একটিও পারেনি ইংলিশরা। ৩০ আগস্ট সাউদ্যাম্পটনে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৩২৯ ও ৩৫২/৭ ডি.
ইংল্যান্ড: ১৬১ ও ৩১৭
ম্যাচ সেরা: বিরাট কোহলি
সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।