কোণঠাসা রিয়ালকে আশা দেখাচ্ছে উয়েফা

প্রাক মৌসুম প্রীতি ম্যাচে অভাবটা টের পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো না থাকার ধাক্কাটা রিয়াল খেয়েছে নতুন মৌসুমের প্রথম প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচেই। উয়েফা সুপার কাপের ‘মাদ্রিদ ডার্বি’তে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৪-২ গোলে হেরে গেছে রিয়াল।

এমন একটা হারই নতুন করে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে রিয়াল সমর্থকদের। কারণ বিগত নয় বছরের সেরা তারকার শূন্যতা এখনো পূরণ করতে পারেনি রিয়াল। পর্তুগিজ যুবরাজের বিকল্প হিসেবে বড় কোনো খেলোয়াড়ও এর মধ্যে দলে টানেনি ইউরোপ সেরা দলটি। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্ত জানিয়েছে ‘বিগ বাজেট’ ধরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

নেইমারকে পাওয়ার আশাতেই নাকি এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে এখনো বড় কোনো ফুটবলার কেনেনি ক্লাব। এ যাত্রায় রিয়ালকে আশা দেখাচ্ছে উয়েফার আর্থিক আইনি জটিলতা। যেখানে পিএসজির বিপক্ষে উয়েফা রায় দিলেই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে দলে টানার শেষ একটা সুযোগ পাবে রিয়াল।

এই সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রয়োজনে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও রাজি আছেন রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তাই রিয়ালকে আপাতত পিএসজির জন্য অমঙ্গল কামনা করতে হবে। উয়েফার কমিটি ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির আয়-ব্যয় নিয়ে যে তদন্ত করছে সেখানে যাতে পিএসজির ত্রুটি খুঁজে পায়।

প্রায় এক দশকের স্প্যানিশ ফুটবল অধ্যায় শেষ করে জুভেন্টাসে চলে গেছেন রোনালদো। পর্তুগিজ উইঙ্গারকে ছাড়া প্রথম কোনো বড় ম্যাচেই হেরেছে রিয়াল। সুপার কাপের ওই হারের পর থেকেই রোনালদোর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ক্লাব সমর্থকদের বড় একটা অংশ নেইমারকে চাইছেন।

রিয়াল অবশ্য অনেক আগে থেকেই নেইমারকে দলে টানার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। অবস্থা এমন হয়েছিল যে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো পারলে নেইমারের গায়ে রিয়ালের জার্সি চাপিয়ে দেয়! এর মধ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান তারকার রিয়াল যাত্রার খবরগুলোও থেমে যায়। কিন্তু দুদিন আগে অ্যাটলেটিকোর কাছে হারটাই নতুন করে প্রসঙ্গটা সামনে নিয়ে এসেছে।

অবশ্য নেইমার জানিয়েছেন- আমি পিএসজিতে সুখি আছি। ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিরও প্রাণভোমরাকে বিক্রির কোনো তাড়না নেই। পিএসজির কাতারি মালিক নাসির আল-খেলাইফিকেও তাই প্রলোভন দেখানোর সুযোগ নেই। তাই এ মাসের শেষ দিকে বের হওয়া উয়েফার আর্থিক তদন্ত প্রতিবেদনই তাই রিয়ালের শেষ ভরসা।