লন্ডন থেকেই শুরু আশরাফুলের ফেরার যুদ্ধ

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে। এ কারণে সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার যুদ্ধ শুরু করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার এই পদক্ষেপকে কেউ কেউ বাড়াবাড়ি বলতেই পারেন। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্ধকারে পা ডোবানো আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষ হচ্ছে ১৩ আগস্ট। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জাতীয় দলে ঢোকা তার জন্য সহজ হবে না। কারণ জাতীয় দলের প্রতিটি স্থান নিয়ে এখন কঠিন প্রতিযোগিতা। বিশ্বকাপের বাকি আছে ১১ মাস। এর মধ্যেই মোহাম্মদ আশরাফুল কিনা সোজা বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন!

তার এই ইচ্ছাকে অনেকে বলছেন আত্মবিশ্বাসের অতিপ্রকাশ। আবার অনেকে এটাকে কিছু করে দেখানোর জিদও বলবেন হয়তো। তবে যে যাই ভাবুক না কেন নিষেধাজ্ঞা শেষ না হতেই আশরাফুল কিন্তু নিজ উদ্যোগে লন্ডনে উড়ে দিয়ে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বসবে ইংল্যান্ডে। ফলে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে সোজা বিশ্বকাপের ভেন্যুতে গিয়ে অনুশীলন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম 'সুপারস্টার'।

দেশের জনপ্রিয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আশরাফুল নিজেই জানান এমন তথ্য। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, 'লন্ডনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ম্যাচ খেলছি। ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। আগামী বিশ্বকাপে হবে এখানে। জাতীয় দলে খেলা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা উঠে যাচ্ছে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা।'

আশরাফুল আরও বলেছেন, 'আমি অপরাধ করেছিলাম। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, দেশের সঙ্গে কখনো প্রতারণা করিনি। দলকে হারিয়ে দেওয়ার মতো কিছু কখনো করিনি। অপরাধ স্বীকার করে সকলের ঘৃণার পাত্র হয়েছি, কিন্তু প্রতারণার মতো কিছু করিনি।'

২০১৩ সালের বিপিএলে ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন আশরাফুল। আকসু প্রতিনিধিদের কাছে সেটা পরে স্বীকার করে নিলে বিষয়টা নিয়ে ঝড় উঠে যায় ক্রিকেট মহলে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্রেঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পরে অবশ্য তার আবেদনের ভিত্তিতে তিন বছরের শাস্তি কমানো হয়। দুই বছর আগে তিনি ঘরোয়া পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার অনুমতি পান। ১৩ আগস্ট থেকে আশরাফুল পাচ্ছেন যে কোনো ক্রিকেট খেলার অনুমতি।