সিরিজ জেতা হলো না মুমিনুলদের

সিরিজটা ছিলো পাঁচ ম্যাচের। প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় সিরিজের ফলও যেনো 'পরিত্যক্ত'ই হলো। যেখানে আয়ারল্যান্ড 'এ' বা বাংলাদেশ 'এ'; জয়ী নয় কেউ!

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে রুখে দাঁড়ায় আইরিশরা। পরের ম্যাচে আবার বাংলাদেশের হয় শেষ হাসি। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ শেষের হাসিটাও নিজেদের করে নেয়ার চেষ্টা ছিলো মুমিনুল হকদের। কিন্তু আয়ারল্যান্ড আবার ঘুরে দাঁড়ানোয় তা আর হয়নি।

ডাবলিনে শেষ ম্যাচে আইরিশদের ২৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। এই লক্ষ্যটা প্রায় হেসেখেলেই ছুঁয়ে ফেলে এ বছরই প্রথম টেস্ট খেলা আয়ারল্যান্ডের ছায়া জাতীয় দল।

তাদের হয়ে ১৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বিলবারনি। ১৪৪ বলে খেলা তার এই অসাধারণ ইনিসংটিই মূলত আইরিশদের ইনিংস হারের কষ্ট থেকে বাঁচায়।

জবাব দিতে নেমে ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এই ধাক্কাটা তারা টেরই পাযনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৭ রানের জুটি গড়েন বিলবার্নি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। এ দুজনই মূলত লিখে দেন আয়ারল্যান্ডের জয়ের চিত্রনাট্য।

এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন ও ফজলে রাব্বির দুটে সত্তোরোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ২৮৩ রান করে বাংলাদেশ। মিঠুন এই নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে বড় ইনিংস খেললেন। কিন্তু একটিকেও সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

সিরিজ জিততে না পারলেও বাংলাদেশ খেলেছে দুর্দান্ত। সিরিজ শেষে দেখা যাচ্ছে চার ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশের।

সর্বোচ্চ ৩০০ রান করেছেন আইরিশ 'এ' দলের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বিলবার্নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান এসেছে বাংলাদেশ 'এ' দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। সিরিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮২ রানের মালিকও মুমিনুল।

বোলিংয়ে অবশ্য আইরিশরা এগিয়ে। সেরা পাঁচের মধ্যে তিনজনই তাদের। তবে প্রথম স্থানটা বাংলাদেশি পেসার খালেদ আহমেদের। চার ম্যাচে তিনি ১০ উইকেট নিয়েছেন। পিটার চেস আইরিশদের হয়ে সেরা বোলিং করেন। তার শিকার মোট নয়টি। ২২ ওয়ানডে খেলা এই পেসার একবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটও নেন।

ওয়ানডে সিরিজের পর দুই দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ১৫ ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।