সড়ক আইনে ৩ থেকে বেড়ে ৫ বছর হচ্ছে চালকের সাজা!
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে দৃশ্যত অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশে। এরই মধ্যে তড়িঘড়ি করে নতুন সড়ক আইন করতে যাচ্ছে সরকার। আর এতে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চালকের সাজা মাত্র দুই বছর বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হচ্ছে।
নতুন আইনের চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হলে মামলা হবে দণ্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায়। এই ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমান আইনে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে।
এতে বলা হয়, আক্রমণাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণে সড়কে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ির কোনো ক্ষতি করা যাবে না। ওই সময় চালক বা সহকারীদের ওপর কোনো আক্রমণাত্মক আচরণ করা যাবে না। দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরযান বা মোটরযানের যাত্রী বা ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে জনশৃঙ্খলাপরিপন্থী কোনো ধরনের আচরণ করতে পারবে না।
খসড়া আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে জনসমক্ষে কোনো গাড়ি চালাতে পারবেন না। এ ছাড়া গণপরিবহন চালানোর জন্য আলাদা অনুমতি লাগবে। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ এবং পেশাদার চালকদের লাইসেন্স পেতে বয়স ২১ হতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, চালকের অপরাধের জন্য ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। তার যেকোনো অপরাধের দোষসূচক পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শেষ হলে তার লাইসেন্স বাতিল হবে। বাসচালকের সহকারী লাইসেন্স ছাড়া গাড়িতে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তিত হলে তা ৩০ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে বলে নতুন খসড়া আইনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী তার দায়িত্ব বা সেবা দিতে অবহেলা করলে বা ত্রুটিপূর্ণভাবে পালনের কারণে কোনো দুর্ঘটনা হলে বা কোনো সড়কের ডিজাইন বা নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণজনিত ত্রুটির কারণে সংঘটিত দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা নির্মাণকারী বা তদারককারীর ওপর বর্তাবে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন আইনে কোনো অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য যেকোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়ী হবেন। এ অপরাধের জন্য ব্যক্তিকে দোষী করা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা যাবে।
এছাড়া খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো পোশাকধারী পুলিশের সামনে কোনো চালক অপরাধ করলে তিনি পরোয়ানা ছাড়াই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন এবং জরিমানা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও সংশোধন করে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৩ সালে। এরপর গত বছরের ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিছু পর্যবেক্ষণসহ আইনটি নীতিগত অনুমোদন পায়। পরে আইনের অপরাধ ও দণ্ডের বিধান পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি করা হয়।
নতুন আইনের বিষয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নতুন আইনে শাস্তি অত্যন্ত কম রাখা হয়েছে। এতে আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নই। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া চালকের ফাঁসির দাবি করছে। নতুন আইনে এসব দাবির প্রতিফলন নেই।
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সড়ক পরিবহন আইন পাসের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ভাওতাবাজি।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.