সুবাসেই শেষ ভারতের জয়, ইংলিশ পতাকাই উড়লো এজবাস্টনে

হাতে পাঁচ উইকেট রেখে জেতার জন্য মাত্র ৮৪ রান দরকার ছিলো ভারতের। সময় পড়ে ছিলো পুরো দুই দিন। কিন্তু পারলো না ভারত। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ছিলেন অপরাজিত। কিন্তু ভারত হেরে গেলো ৩১ রানে। ১৯৪ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে এজবাস্টনে ১৬২ রানে গুটিয়ে গেলো ভারত। অথচ জয়ের সুবাস নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলো তারা।

এজবাস্টনে এখন পর্যন্ত কোনো এশিয়ান দলের কাছে টেস্ট হারেনি ইংল্যান্ড। এবার ভারত সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলার প্রত্যয় দেখাচ্ছিলো। কিন্তু পারলো না তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ব্যাটিং ধসে ম্যাচ শেষে এজবাস্টনে উড়লো ইংলিশ পতাকাই।

অথচ ১৯৪ রানের লক্ষ্যটা বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইনের দল ভারতের জন্য খুব কঠিন কিছু ছিলো না। প্রথম ইনিংসে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ১৪৯ রান করা বিরাট কোহলি তাদের আশাটাকে আরো বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। কিন্তু শেষমেষ পারেনি ভারত।

শেষ ইনিংসের ভারতের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দেন বেন স্টোকস। চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। তাকে দারুণ সহায়তা দেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। তারা দুটি করে উইকেট নেন।

এই তিন ইংলিশ পেসারের সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের ব্যাটিং লাইন। বিরাট কোহলি ৫১ রান করে দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান। কিন্তু তার লড়াই শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি।

তৃতীয় দিন শেষে ভারতের হয়ে কোহলির সাথে অপারাজিত ছিলেন দিনেশ কার্তিক। চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন তিনি। ভারতের বিপদ তাতে আরো বেড়ে যায়। যদিও কোহলি উইকেটে থাকা পর্যন্ত ভারতের আশা একেবারে শেষ হয়নি। কিন্তু দিনেশ কার্তিকের পর, ভারতের সপ্তম উইকেট হিসেবে কোহলি যখন আউট হন, ভারতের হার তখন কেবলই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৮৭ রান করে। জবাব দিতে নেমে কোহলির ১৪৯ রানের পরও ভারত করে ২৭৪ রান। পরের ইনিংসে ইশান্ত শর্মার তোপে ১৮০ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা। ফলে শেষ ইনিংসে ভারতের সামনে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। যে লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারলে এজবাস্টনে প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে ইংলিশদের টেস্ট হারানোর গর্ব করতে ভারত। কিন্তু ইংলিশ পেসারদের জন্য এ দিন যে কোনো উত্তরই ছিলো না ভারতের সামনে।