পদত্যাগে নারাজ নৌমন্ত্রী বললেন, আমি সব সময়ই হাসি

বাস চাপায় দুজন শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘হাসি মুখে কথা বলা' নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাহজাহান খান বলেছেন, ‘আমি তো সব সময়ই হাসি, আমার কালো মুখ কেউ দেখেনি। এটা কি দোষের?' এ সময় নিজের পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।

সহপাঠী নিহত হওয়ার ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ দিনভর সড়ক অবরোধ করে ঘাতক চালকের শাস্তি এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটলেই অনেকেই আমার পদত্যাগ দাবি করেন। এর আগেও শহীদ মিনার থেকে আমার এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পদত্যাগ কোন সমস্যার সমাধান নয়।’

পদত্যাগ দাবিকারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন বা বলতে পারেন, আপনি (নৌমন্ত্রী) গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে আমার চলে যাওয়ায় কোনো অসুবিধা নেই। আমি পদত্যাগ করলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে? বরং এই পদে থেকেই সমস্যার সমাধান করা উত্তম।’

অন্যদিকে বাস চাপায় দুজন শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘হাসি মুখে কথা বলা' নিয়ে শাহজাহান খান বলেন, ‘আমি সব সময়ই হাসি, আমার কালো মুখ কেউ দেখেনি। এটা কি দোষের? এ ঘটনায় আমার ক্ষমা চাওয়ার কথা না, তারপরও দুঃখ প্রকাশ করছি।’ এর আগে আজ দুপুরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় অবশ্যই দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমি আন্দোলনরত ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, অবশ্যই দায়ীদের বিচার হবে। এ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আগামীকাল মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করব, বৈঠকে এ বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাসের রেষারেষিতেই এ দুর্ঘটনা নাকি তা ব্রেক ফেলের জন্য -তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষী যেই হোক না কেন এ অপমৃত্যুর বিচার হবেই।’

জাবালে নূর পরিবহনের সঙ্গে নিজের আত্মীয়তার সম্পর্ক অস্বীকার: এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘাতক বাস জাবালে নূর পরিবহনের মালিক নৌমন্ত্রীর শ্যালক -এমন খবরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শাজাহান খান বলেন, ‘জাবালে নূরের কারো সঙ্গে আমারে কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। পাঁচ বছর আগে এর ১২ জন পরিচালকের একজন ছিলেন আমার শ্যালক। পাঁচ বছর ধরে এখন আর তিনি কোনো ব্যবসা করেন না। জাবালে নূর-এর চেয়ারম্যানই বলেছেন তিনি আর এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত নেই।’