ফের টেস্ট খেলতে চান মাশরাফি

নিজের ৩২তম জন্মদিনে নতুন এক আভাস দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দীর্ঘ ২১মাস পর আবার দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে দেখা যাবে তাকে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর আবার জাতীয় লিগে খেলবেন মাশরাফি। ১০ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খুলনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। মাশরাফি জানিয়েছেন, তার ফিটনেস লেভেল অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ কারণে এমন কি ছয় বছর পর টেস্ট খেলার স্বপ্নও দেখছেন তিনি!

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন মাশরাফি। কিন্তু ওই ম্যাচের প্রথম দিন সকালের ইনজুরিতে পড়ে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর আর টেস্ট খেলা হয়নি মাশরাফির। একে একে কেটে গেছে দীর্ঘ ছয় বছর। এই অর্ধযুগে তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মাত্র চারটি। ২০১০ সালে একটি, ২০১২ সালে একটি এবং ২০১৪ সালে দুটি।

দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে মাঠে নামলেও দিনে ১০ থেকে ১২ ওভারের বেশি বোলিং করতে পারবেন না ইনজুরিজর্জর মাশরাফি। এমনকি পরপর দুই ম্যাচে মাঠে নামতেও পারবেন না তিনি। টেস্ট খেলার স্বপ্নটা এখনো আছে বলেই সাবধানে এগোতে চাইছেন মাশরাফি। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।

২০০১ সালে টেস্ট অভিষেক হয় মাশরাফির। দেশের দ্রুততম বোলার হিসেবে অল্পদিনেই জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে ফেলেন চিত্রা নদীর স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটে বড় হওয়া 'কৌশিক'। জাতীয় দলে ঢোকার পর পরই কৈশরের নাম 'কৌশিক' থেকে থেকে বেরিয়ে 'মাশরাফি' হয়ে উঠেন তিনি। কিন্তু শুরুর মতো মসৃণ ছিলো না মাশরাফির পথ চলা। ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কেটে গেছে মাঠের বাইরে বসে থাকতে থাকতে।

গত ১৪ বছরে মাত্র ৩৬ টেস্ট খেলেছেন মাশরাফি। ৫১ ইনিংসে নিয়েছেন ৭৮টি উইকেট। আহামরি কিছু নয়। কিন্তু সাত সাতবার যদি অস্ত্রোপচারের ছুড়ির নিচে বসতে না হতো, মাশরাফি নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সফল বোলার হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যটা ঠিক সহায় ছিলো না তার।

আপনি আরো পড়তে পারেন

জ্বলে উঠলেন 'আগামীর মাশরাফি'

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে ক্রিকেটার শাহাদাত

বিপিএলের জন্য মুখিয়ে আছেন আফ্রিদি