সিলেটে ভোটকেন্দ্র দখল, সংঘর্ষ-গুলিতে আতঙ্ক

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেয়া, জোর করে ব্যালটে সিল এবং জালভোট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।

সিলেট নগরীর ৫নম্বর ওয়ার্ডের খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার সকল পৌনে ১০টায় ভোট কেন্দ্র দখলে নেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা রিমাদ আহমদ রুবেল ও তার কর্মীরা। এসময় তারা কেন্দ্রের গেইট বন্ধ করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় প্রায় ১ ঘণ্টা ভোট কেন্দ্র বন্ধ ছিল। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সকাল পৌনে ১১টায় বিজিবি সদস্যরা কেন্দ্রে উপস্থিত হন।

এদিকে, সকাল ১০টায় নগরীর পাঠানটুলা এলাকার শাহাজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই ভোটকেন্দ্র প্রায় ১৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

প্রিজাইডিং অফিসার জামিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ১৫ মিনিট পরেই আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।’

অন্যদিকে সকাল ১১টার দিকে নগরীর ১৮নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপাড়ায় কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। এসময় একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রটি দখল করে জালভোট দেয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব যোবায়েরের মধ্যে। খবর: ইউএনবি।