ইমরানকে জয়ী ঘোষণা, কোয়ালিশন সরকার গঠনে কাজ শুরু

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুক্রবার ক্রিকেট তারকা ইমরান খানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। তবে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় তাকে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হবে। আর সেই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

গত বুধাবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দুদিন ধরে ধীর গতির ফল গণনা শেষে দেখা যায়, জাতীয় পরিষদের ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১০৯টিতে জয় পেয়েছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ।

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের শাহবাজ শরীফ পেয়েছেন ৬৩টি আসন।

এদিকে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দলের প্রধান শাবাজ শরীফ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত এ ফলাফলে জালিয়াতির অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

পাকিস্তানের নির্বাচন পদ্ধতি ব্রিটিশ আদলে তৈরি। গত বুধবারের ভোটে দেশটির জনগণ তাদের জাতীয় পরিষদ এবং চার প্রাদেশিক সংসদের নেতাদের নির্বাচিত করেন।

ইমরান খানের পার্টির একজন মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র ও জোটগতভাবে কোয়ালিশন সরকার গঠন করার প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে নির্বাচন কমিশন আজ ঘোষণা দিলেও গত বৃহস্পতিবার শুধু অনুমানের ভিত্তিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম বক্তৃতায় ৬৫ বছর বয়সী ইমরান নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক ভাষণে ইমরান বলেন, ‘আজ আপনাদের সামনে, পাকিস্তানের জনগণের সামনে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, এমনভাবে পাকিস্তানকে চালানো হবে, যা আগে কখনো চালানো হয়নি। দুর্নীতি দূর করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হবে। সম্মান ও সমতার ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে।’

কিন্তু পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক সরকারের পূর্বে ইমরান খানকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, যেখানে তাকে তার এজেন্ডা থেকে বেরিয়ে আসতে হতে পারে।