‘প্রমাণ করতে চাই আমি এখনো বিশ্বসেরা’

পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা চিরকালীন আক্ষেপ হয়ে আছে জিয়ানলুইজি বুফনের কাছে। দু’ দুবার রূপালি ট্রফিটার খুব কাছে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরে এসেছেন ইতালির এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক। ভাগ্য বদলাতে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে ক্লাবও পাল্টালেন বুফন।

জুভেন্টাস ছেড়ে গোলপোস্টের এই অতন্দ্র প্রহরী নাম লিখিয়েছেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। সোমবার লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে প্রথমবারের মতো অনুশীলনও করলেন বুফন। অনুশীলন শেষেই বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক পিএসজি সমর্থকদের শোনালেন আশার বাণী।

বুফন জানালেন নতুন অধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তিনি, ‘ছোট বেলার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই আমি প্যারিসে এসেছি। আমি সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। আজ (সোমবার) পিএসজিতে আমি প্রথম অনুশীলন করেছি। এখানে নতুন ভাষায় কথা বলতে এবং শুনতে খুব ভালো লাগছে।’

ইতালির হয়ে রেকর্ড (সর্বোচ্চ) ১৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন বুফন। জুভেন্টাসের গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন ৬৫৬ বার। ১৭ বছরের এই অধ্যায়ে তুরিনের বুড়িদের হয়ে অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন তিনি। তার দুর্দান্ত পারফরমান্সের সুবাদে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগে টানা সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জুভেন্টাস।

এসবকিছুই এখন অতীত। বুফনের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এখন শুধুই পিএসজিকে ঘিরে। ফ্রেঞ্চ এই ক্লাবটির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছেন তিনি। কিন্তু ৪০ বছর বয়সে এসে নতুন ঠিকানায় বুফন পারবেন তো সেরাটা উপহার দিতে? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসী উত্তর দিলেন তিনি, ‘দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই সমান এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রমাণ করতে চাই আমি এখনো বিশ্বসেরা গোলরক্ষক।’

বুফনের চ্যাম্পিয়নস লিগ হাহাকার এবং পিএসজির চাওয়া দুটোই মিলে গেছে এক বিন্দুতে। ইতালিয়ান কিংবদন্তি যেমন কখনো রূপালি ট্রফিটা জিততে পারেননি, তেমনি পিএসজিও কখনো পায়নি ইউরোপ সেরা ক্লাবের মর্যাদা। গত মৌসুমেও ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোতে থেমে গেছে পিএসজির স্বপ্নযাত্রা।

অবশ্য পিএসজিতে এলেও নিজের হাহাকারটা তুলে ধরলেন না বুফন। তাহলে কেন পিএসজিতে এলেন? উত্তরে বুফন বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগই আমার আসল লক্ষ্য নয়। গত কয়েক বছর ধরে ক্লাবটিকে আমি দেখেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার জন্য এটা নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। আমি বিশ্বাস করি, এখনো আমার মধ্যে কিছু আছে এবং আমি সেটা দিতে চাই। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমার বয়স ৪০ হয়ে গেছে। কিন্তু শারীরীক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই আমি ফিট আছি।’