‘মেসির নয়, ব্যর্থতার দায় পুরো দলের’

ডিয়েগো ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরি ভাবা হয় লিওনেল মেসিকে। অনেকে তো ম্যারাডোনার সঙ্গে মেসির তুলনাও করে থাকেন। দুই প্রজন্মের দুই ফুটবলারের মধ্যে কে সেরা; এমন প্রশ্ন শুনতে হলো ১৯৮৬ আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক নেরি পুম্পিদোকেও।

কঠিন প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক জবাব দিলেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবেলা’কে এক সাক্ষাৎকারে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক বলেছেন, ‘আমার কাছে ডিয়েগো ম্যারাডোনা-ই সেরা ফুটবলার। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে মেসিকে এগিয়ে রাখতে হবে।’

বিশ্বকাপ জিতলে কোনো বিতর্ক ছাড়াই ম্যারাডোনার সমতুল্য হতে পারতেন মেসি। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে সম্ভবত শেষ সুযোগটাও হাতছাড়া করে ফেলেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ফ্রান্সের কাছে শেষ ষোলোতে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

দলের এই ব্যর্থতার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দুর্বল রক্ষণভাগ এবং গোলরক্ষকদের শ্রীহীন পারফরম্যান্স। অধিনায়ক হিসেবে মেসিকেও অনেকে দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়। তবে এককভাবে মেসিকে নয়, রাশিয়ার ব্যর্থতার দায়টা পুরো দলের ওপরই চাপালেন পুম্পিদো।

ম্যারাডোনার এক সময়কার সতীর্থ বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে মেসি খুব ভালো ফুটবলার। তবে এটা ঠিক রাশিয়া বিশ্বকাপে মেসি সেরা ফর্মে ছিল না। টুর্নামেন্টটা মোটেও ভালো কাটেনি ওর। আর্জেন্টিনা দলও ভালো খেলেনি। এ জন্য গোলরক্ষক এবং ডিফেন্ডারদেরও দোষ দিয়ে লাভ নেই। দল হিসেবে আর্জেন্টিনা ব্যর্থ হয়েছে।’

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর আর্জেন্টিনা দলে পরিবর্তনটা প্রায় অবধারিত হয়ে উঠেছে। নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখছে দুইবারের বিশ্বসেরারা। এই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় আর্জেন্টিনার জন্য পুম্পিদোর পরামর্শ, ‘একটা দল হয়ে উঠতে সবার মধ্যে বোঝাপড়া দরকার। এ জন্য অনেক সময় দরকার। বেশি বেশি অনুশীলন এবং খেলার বিকল্প নেই। তখনই ভালো কিছু সম্ভব। আমার মনে হয় নতুন করে সব শুরু করতে হবে। কীভাবে সফল হতে হবে সেই উপায়টা ওদেরই খুঁজতে হবে।’