এবার নীল সামুরাইদের প্রতিপক্ষ আফ্রিকান সিংহের দল

এশিয়ার পরাশক্তি বলা হয় জাপানকে। রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই তারা উপহার দিয়েছে দারুণ এক জয়। প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে ল্যাটিন আমেরিকার কোনো দলকে হারিয়ে চমক নিয়ে হাজির হয়েছে নীল সামুরাইরা। জাপানের জয়টা ছিল ২-১ গোলে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে।

‘এইচ’ গ্রুপের চারটি দলই মাঝারি শক্তির। তবু এই গ্রুপের আন্ডারডগ ভাবা হচ্ছিল জাপানকে। অথচ শেষ ষোলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা দারুণভাবেই তৈরি করেছে তারা। প্রথম ম্যাচে আবার শুরুর একাদশে খেলতে পারেননি দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা কেইসুকে হোন্ডা এবং শিনজি ওকাজাকি।

চোট শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কলম্বিয়া ম্যাচে দুজনই উঠে এসেছেন বেঞ্চ ছেড়ে। জাপানের জন্য আশার খবর- ওকাজাকি-হোন্ডা দুজনই শতভাগ ফিট হয়ে উঠেছেন। রোববার সেনেগালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুর একাদশে দুজনকে এক সাথে মাঠে নামানোর আভাস দিয়েছেন জাপান কোচ আলিউ চিসে।

গ্রুপে আন্ডারডগ ভাবা হয়েছিল সেনেগালকেও। চমক দেখিয়েছে তারাও। রবার্ট লেভানডফস্কির পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে রেখে আফ্রিকার দলটি। রোববার জিতলে নক আউট পর্বের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে সেনেগাল।

জাপানের বিপক্ষে জয়ী দলটা নিয়েই রোববার মাঠে নামবে আফ্রিকার দলটি। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি। লড়াইয়ের মঞ্চ ইয়াকাতেরিনবুর্গ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, মাছরাঙা, নাগরিক টিভি ও সনি টেন টু।

তবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেলেও জাপানের পা মাটিতেই। সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে অধিনায়ক মাকাতো হাসিবি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, আমরা প্রায় ৯০ মিনিট দশ জনের প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছি। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য ব্যতিক্রম হবে।’

হাসিবি ঠিকই বলেছেন। কারণ ওই ম্যাচের শুরুতেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার কার্লোস সানচেজ। জাপানের নিশ্চিত গোল হাত দিয়ে ঠেকানোর শাস্তি হিসেবে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। উচ্ছ্বাসে গা ভাসানোর সুযোগ নেই সেনেগালেরও। কারণ প্রথম ম্যাচে তাদের দুই গোলের একটি এসেছে উপহারসূচক আত্মঘাতী থেকে!

অবশ্য প্রথম ম্যাচে দুই দলের সাফল্য প্রায় সমান হলেও অন্য সব জায়গাতেই জাপানের চেয়ে এই ম্যাচে এগিয়ে রাখবে সেনেগালকে। বিশ্বকাপে এশিয়ান দলগুলোর বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছে আফ্রিকার দলটি। তাদের আশা দেখাচ্ছে আরো একটি তথ্য। জাপানের বিপক্ষে কখনো হারেনি তারা।

মুখোমুখি লড়াইয়ে তিনটি প্রীতি ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে সেনেগাল। বিশ্বকাপে প্রথমবারের সাক্ষাতে আফ্রিকার দলটির সেই অজেয় তকমাটা আজ জাপান তুলে ফেলতে পারবে তো?