এবার আর পিছনে তাকাতে চান না সোহান

দুদিন বাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়াল দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই দলে আছেন নুরুল হাসান সোহানও। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে হঠাৎ করেই টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় তার। ক্রাইস্টচার্চের সেই টেস্টে কিউই পেসারদের বিপক্ষে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পরও বাদ পড়ে যান তিনি। তবে এবার আর পিছনের সেই হতাশার পথের দিকে তাকাতে চান না তিনি। বরং নতুন সুযোগকে রাঙাতে চান পারফর্ম্যান্সের রঙিন আলোয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছিলো বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। এ দিন দ্বিতীয় দিনের মতো দলকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান স্টিভ রোডস। কদিন আগেই বাংলাদেশ দলের নতুন কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

নতুন কোচের অধীনে ঘাম ঝড়ানো অনুশীলনের পর বৃহস্পতিবার সোহানকে দেখা গেলো একাই দীর্ঘ সময় নিয়ে সেন্ট্রাল উইকেটে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। তাকে পেতে তাই সংবাদ মাধ্যমকে অপেক্ষায় থাকতে হয় বেশ খানিকটা সময়।

গত কয়েক সিরিজে সোহানকে কেবল বিবেচনা করা হয়েছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য। সে হিসেবে তার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটা কিছুটা বিস্ময় হয়েই এসেছে। সোহান অবশ্য এভাবে ভাবছেন না। তিনি বরং জাতীয় দলের খেলার সুযোগ পাওয়াটাই বড় করে দেখছেন।

এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার। কোথায় খেলবো বা কোন ফরম্যাটে খেলবো, এটা নির্ভর করে দলের চাওয়ার উপর। আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কোনো ফরম্যাটে যে কোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত। যে কোনো জায়গায় পারফর্ম করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

লক্ষ্য পূরণের চেষ্টায় সোহান রাখছেন না কোনো ত্রুটি। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই যেমন ৫০-এর উপর গড়ে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন। যেখানে তার স্ট্রাইকরেট ছিলো ১০০-এর উপরে। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আসরে ধারাবাহিকতার দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে সোহানের পরিণত হয়ে উঠার পথে যা এক বড় প্রমাণ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে আছেন তিনজন বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার। দলের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র বলছে, টেস্টে মুশফিকুর রহিমের কিপিং করার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কিপিংটা তাই সামলাবেন লিটন দাস। এই পরিস্থিতিতে সোহানের একাদশে জায়গা পাওয়াই কঠিন। কিন্তু কিপিং যতোই ভালো হোক, লিটন যদি ব্যাটিংয়ে সুবিধা না করতে পারেন, তাহলে কপাল খুলে যেতে পারে সোহানের জন্য। এমন কোনো সুযোগ পেয়ে গেলে, তিনি নিশ্চয় এমন কিছু করতে চাইবেন, যাতে সত্যিই আর পিছনে ফিরে তাকাতে না হয়!