রাশিয়ায় পা রাখলেন নিষিদ্ধ ব্ল্যাটার

ফিফা প্রেসিডেন্টের চেয়ারটা এক রকম নিজের পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপান্তর করে ফেলেছিলেন সেপ ব্ল্যাটার। দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার চূড়ায় বসে ছিলেন এই ‘সুইসম্যান’।

অবশেষে পতন ঘটেছে ব্ল্যাটার সাম্রাজ্যের। আর্থিক মহাকেলেঙ্কারির দায় নিয়ে সরে যেতে হয়েছে ৮২ বছর বয়সী এই সুইস ফুটবল সংগঠককে। দুর্নীতির কারণে ২০২১ অক্টোবর পর্যন্ত ফুটবলীয় সব ধরণের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। তবে স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখতে বাধা নেই তার।

পুরো জীবনের অনেকটা সময় নিজের ঘাম ও শ্রম সবই ফুটবলের জন্য উজাড় করে দিয়েছেন ব্ল্যাটার। ফুটবলের অগ্রগতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সংগঠক হিসেবে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে জড়িয়েছেন বিতর্কে; গায়ে মেখেছেন কলঙ্কের কালিমা। শাস্তি হিসেবে পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা।

বিতর্কিত এই ফুটবল সংগঠককে বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার মস্কোতে পা রেখেছেন ব্ল্যাটার। ৮২ বছর বয়সী এই সংগঠক বিশ্বকাপে নিজের উপস্থিতির কথা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

মঙ্গলবার মেক্সিকো এবং পর্তুগাল সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তুলে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন ব্ল্যাটার। ধারণা করা হচ্ছে দুটি ম্যাচ দেখবেন তিনি। যার প্রথমটি বুধবার পর্তুগাল-মরক্কোর ম্যাচ। সন্ধ্যায় মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দেখা যেতে পারে ব্ল্যাটারকে।

গতকাল মস্কোয় পৌঁছানোর পর সুইস অফিসিয়ালকে ব্ল্যাটার বলেছেন, ‘আমি এখানে ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে আসিনি। আমি এখানকার অতিথি।’ অবশ্য একা আসেননি ব্ল্যাটার। ফুটবল মহাযজ্ঞ দেখতে স্ত্রী লিন্ডা বারাসকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ব্ল্যাটারের। তার সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্টের সম্পর্কটা কেমন সেটা গত বছর পুতিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, ‘ব্ল্যাটারের সঙ্গে পুতিনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, চলমান বিশ্বকাপের আয়োজক হতে ব্ল্যাটারের সহায়তা পেয়েছিলেন পুতিন। আট বছর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের স্বাগতিক নির্বাচনে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার। ভোটাভুটির লড়াইয়ে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস/বেলজিয়াম এবং পর্তুগাল/স্পেনকে হারিয়ে একুশতম বিশ্বকাপের আয়োজক হয় রাশিয়া।