প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বড় হার

হার দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই পেসারের নিদারুণ ব্যর্থতাকে পুঁজি করে প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রান করে আফগানিস্তান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানের হার সহ্য করতে হয় বাংলাদেশকে।

শেষ পাঁচ ওভারে জেতার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৪ রান। ১৬তম ওভার করতে এসে মাত্র চার রান দেন মুজিব উর রহমান। ফলে শেষ চার ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৬০ রান। এই রান আর করা হয়নি মাহমুদুল্লাহদের।

আফগানিস্তানের হয়ে চোখ ধাঁধানো বোলিং করেন শাপুর জাদরান ও রশিদ খান। দুজনই তিনটি করে উইকেট নেন। মোহাম্মদ নবি নেন দুই উইকেট। বাংলাদেশকে দারুণ বোলিংয়ে ধসিয়ে দেয়ার আগে ১৬৭ রান করে আফগানিস্তান।

জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। মুজিব উর রহমানের অফস্পিন বুঝতেই পারেননি তামিম। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়া লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান।

চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসা মোহাম্মদ নবিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল তুলে দেন সাকিব। ক্যাচ নেন আফগান উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শেহজাদ। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ পড়ে যায় বিপদে। সেই বিপদ কাটানোর ভার পড়ে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের কাঁধে।

এ দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৪৩ রান। ২৬ বলে এই রান করেন লিটন ও মুশফিক। দলীয় ৬৪ রানে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন লিটন এবারও বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নবি। ম্যাচে তুলনামূলক ব্যাকফুটে থেকেও কেনো লিটন রিভার্স সুইপের মতো বিলাসিতা করতে গেলেন, তা বোধহয় লিটন নিজেও জানেন না।

গড়ে উঠতে থাকা জুটি ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই মোহাম্মদ নবির বলে সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অথচ আগের ওভারের শেষ তিন বলে দুটি চার মেরেছিলেন তিনি। যা আভাস দিচ্ছিলো তার বড় ইনিংসের। দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন রশিদ। কিন্তু ক্যাচটা তিনি রাখতে পারেননি। টিকে যান মাহমুদুল্লাহ।

মাহমুদুল্লাহর টিকে যাওয়ার স্বস্তি টিকে থাকে মাত্র পাঁচ বল। একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই মুশফিকুর রহিমকে বিদায় করেন রশিদ খান। পরের বলে শূন্যতেই মুশফিকের পথ ধরেন সাব্বির রহমানও। ৮০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। যে শঙ্কা থেকে আর এর হতে পারেননি সাকিবরা।

এর আগে শেষ পাঁচ ওভারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৬৭ রান করে আফগানিস্তান। শেষ পাঁচ ওভারে তারা করে ৭১ রান। এর মধ্যে আবু জায়েদ রাহি ও আবুল হাসান রাজুর শেষ তিন ওভারে আফগানিস্তান তুলে ৫২ রান। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ। এ ছাড়া মাত্র ১৮ বলে ৩৬ রান করেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।

১৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে একবারও সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলো না বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে দারুণ দাপট দেখিয়ে জয় পায় আফগানিস্তান। ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে আফগানিস্তান পাঁচ জুন মাঠে নামবে সিরিজ জয়ের উদ্দেশ্যে।