দ্বিতীয় ধরলা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কুড়িগ্রাম জেলায় দ্বিতীয় ধরলা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকালে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন করেন তিনি।

ধরলা নদীর ওপর নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় ধরলা সেতুটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা এবং লালমনিরহাটে সদর উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সেতু প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে। ২০১৪ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পর বিগত নয় বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি যে সরকার আন্তরিকতার সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করলে দেশের উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সকলকে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য আহ্বান জানান। দেশের উত্তরাঞ্চলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার উত্তরাঞ্চল থেকে 'দুর্ভিক্ষ' দূর করেছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে এটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে প্রথম ধরলা সেতু নির্মাণ করেছে, তবে বিএনপি সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার দুই-তিন মাস পরে এটি চালু করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশি দেশের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করে বিশ্ব ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

দ্বিতীয় ধরলা সেতুর ফলে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার জনগণ, বিশেষ করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। তারা এখন স্বল্প সময়ে রংপুরের বিভিন্ন শহরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৯.৮ মিটার প্রশস্ত সেতুটিতে ১৯টি স্প্যান এবং ২.৯১৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে।

মূল সেতু (দ্বিতীয় ধরলা সেতু) নির্মাণে ১৩১.৫৮ কোটি টাকা, রাস্তায় ১৩.০৯ কোটি টাকা, ৩.৫ কিলোমিটার নদী শাসনে ৪৩.৫০ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে ২.৩৩ কোটি টাকা।

সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৬.৮৫ কোটি টাকা।

মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সঞ্চালয়ায় গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।