‘শিক্ষিত মেয়েরা হিন্দু ধর্মের চেয়ে ইসলাম বেশি জানে’

ভারতে কথিত লাভ জিহাদের জন্য শিক্ষিত মেয়েদের হিন্দু ধর্মের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানাশোনাকে দায়ী করেছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নারী সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির প্রধান ভি শান্তা কুমারি। এটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নারী শাখা।

নিউজ-১৮ কে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেন। গত ২০১২ সাল থেকে আরএসএস-এর এই নারী সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন শান্তা কুমারি। লক্ষ্মীবাই কেলকার ১৯৩৬ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রসঙ্গত, ভারতে কোনো হিন্দু নারীকে কোনো মুসলিম পুরুষ বিয়ে করলে সেটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে আখ্যায়িত করে থাকে উগ্রবাদী হিন্দুরা। এধরনের কয়েকটি ঘটনায় উগ্রবাদী হিন্দুদের হাতে কয়েকজন মুসলিম তরুণকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

কথিত লাভ জিহাদের বিষয়ে হিন্দু মেয়েদের সচেতন করতে বই বের করেছে রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি। এছাড়া সচেতনতামূলক প্রামাণ্যচিত্রও প্রচার করছে উগ্র হিন্দুত্বাবাদী সংগঠনটি।

লাভ জিহাদের বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজ-১৮কে শান্তা কুমারি বলেন, এটা একটা সমস্যা। যেসব মেয়েরা এটার শিকার হয়েছে, তাদের বাবা-মাকে কাঁদতে দেখেছি। শিক্ষিত মেয়েদের মগজধোলাই করে এটা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এসব ঘটনা ঘটছে- কারণ তরুণীরা নিজের ধর্মের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে বেশি তথ্য পাচ্ছে এবং এটা সম্পর্কে তাদের বেশি জানাশোনা। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তো তেমন কিছুই মিলছেই না।

শান্তা কুমারি বলেন, এটা একটা সমস্যা এবং পরিবারের ভূমিকা ব্যর্থ হচ্ছে। তবে আমরা কুটুম্ব প্রবোধন কর্মসূচির আওতায় এটা মোকাবেলা করছি, তরুণীদের কাউন্সেলিং ক্লাস নিচ্ছি।

এছাড়া ‘বৈবাহিক ধর্ষণকে’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবি প্রসঙ্গে এই হিন্দুত্ববাদী নেত্রী বলেন, বৈবাহিক ধর্ষণ? দুজনের স্বেচ্ছায় বিয়ে হচ্ছে, তাহলে বৈবাহিক ধর্ষণ কিভাবে হয়?

তবে তিনি স্বীকার করেন, এটার যে অস্তিত্ব নেই বিষয়টি তা নয়। এটা কিছু কিছু জায়গায় ঘটতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে নারীদের মর্যাদা আছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবারকে আঘাত করে কিছু করা যাবে না। আমরা এটার জন্য কাজ করছি, তবে সব কিছুর জন্য আইন করে নয়।